শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর 

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. শফিকুর রহমানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তার আইনজীবী জামিন চেয়ে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) শুনানি করেন। অন্য দিকে, রাষ্ট্রপক্ষে তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদের তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
 
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সিটির বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শফিকুর রহমানকে আটক করে। ১৩ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্য দিকে, তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

২১ ডিসেম্বর সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ফের তার বিরুদ্ধে আট দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক আবুল বাশার।

অপর দিকে, তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তার আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তার ছেলের (সাদিক সাইফুল্লাহ) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়। 

জামায়াতের আমিরের ছেলে গ্রেফতারকৃত রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। একই মামলায় শফিকুরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদের উদ্দেশে রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাফাত। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ‘আরএসও’ নেতাদের সাথে বৈঠকও করেন তিনি। 

গত ১ নভেম্বর ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত ওরফে আনোয়ার ওরফে আনবির (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২)। তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সবাই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাফাত চৌধুরীর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন। গত ৬ নভেম্বর তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত তিনজন রাফাতসহ অন্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট এলাকা থেকে রাফাত চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।