সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

জালালাবাদ এসোসিয়েশনের জন্য কেনা বাড়ীকে স্বীকৃতির অনুরোধ সাবেক সভাপতি মাহবুবুরের

সোমবার, জানুয়ারী ১৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের জন্য কেনা বাড়ীকে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর অনুরোধ করেছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান। সম্প্রতি বিবৃতি দিয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।

বিবৃতিতে স্বাগত ‘জালালাবাদ ভবন’ উল্লেখ করে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের জন্য কেনা বাড়ীকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর জন্য সকলের প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আসুন, নিজস্ব ভবনে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করি।’

বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি, মাহবুবুর রহমান, ৩০ বছর আগে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলাম। আমার পরে এক ডজনেরও বেশী কমিটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন। আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকারে, সভা-সমাবেশে নানাভাবে আশ্বাস দিয়েছি, কেউ কেউ প্রচেষ্টাও নিয়েছি নিজস্ব ভবনের। কিন্তু পারিনি। আমাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে।
আমেরিকার ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমে ‘নন-প্রফিট’ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ প্রাপ্তি দুরূহ বিষয়। বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব ভবন কেনার সময় মরহুম এনামুল মালিক বড় অংকের অর্থ ধার দিয়েছিলেন। পরে সোসাইটি সে অর্থ পরিশোধ করে। মোহাম্মদ আজিজ সভাপতি ও রানা ফেরদৌস চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন মরহুম মালিকের পাওনার সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করা হয়।’

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জালালাবাদ এসোসিয়েশন একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হওয়ায় এর নামে ঋণ পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পৃথক করপোরেশন গঠন করে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের জন্য একটি বাড়ী কিনেন; যা স্বপ্ন পূরণেন দ্বার খুলে দেয়। এ অবস্থায় যেখানে মইনুল ইসলামকে অভিনন্দন জানানোর কথা, সেখানে তাকে তিরস্কার আয়োজনের খবর শুনে বিস্মিত হয়েছি। এ যেন ‘ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোসাই’।’

মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, মইনুল ইসলামের স্টেটমেন্ট পড়েছি। আমি সন্তুষ্ট এতে। ভাল লোকেশন। বাংলা পত্রিকা ও সাপ্তাহিক নিউইয়র্কের অফিস ছিল এক ব্লক পরেই। ভবনের আয় ভাল। মর্টগেজ দেয়ার পর হাতে অর্থ থাকবে। এসোসিয়েশনকে ঘর় ভাড়া দিতে হবে না, এখন যা দেয়া হয় গাঁটের কড়ি খরচ করে। ভবনে সমাজকল্যাণ কাজের সুযোগও রয়েছে। এ ছাড়া ঘরের দাম ইতিমধ্যে অর্ধ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মইনুল ইসলাম বলেছেন, তিনি ভবনের মালিকানা ও রেসপন্সিবিলিটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। আমি পরামর্শ দেব, তা গ্রহণে এসোসিয়েশন এখনই পদক্ষেপ নেবে ও ভবনে জালালাবাদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।’

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ‘যারা বিরোধ পছন্দ করেন, আগুনে ঘৃতাহুতি বা উস্কানী দেন, বিবাদ-বিসম্বাদকে জিইয়ে রাখেন, আপনারা তাদের পরিহার করুন। সমঝোতার জন্য চাপ দিন। এতে কমিউনিটির মঙ্গল। আমি জানি, বর্তমান সভাপতি বদরুল খান একজন ত্যাগী সাহসী নেতা। আশা করব, সমঝোতার পথে তিনি সবার আগে থাকবেন ও নেতৃত্ব দেবেন। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ঐক্য সম্প্রীতিকে বাইরের মানুষ সম্মান করে, শ্রদ্ধা জানায়, কোন কোন ক্ষেত্রে সমীহও করে। এ সম্মান নষ্ট হতে দেয়া যায় না। বিভেদে জালালাবাদক এসোসিয়েশনকে জর্জরিত করে, যারা এর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইবেন, জনগণ তাদের কখনো ক্ষমা করবে না।’