নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: ব্যবসায় জালিয়াতির মামলায় নিউ ইয়র্ক আদালতের করা জরিমানার ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ টাকা পরিশোধের মধ্য দিয়ে নিজের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়া থেকে বাঁচালেন ট্রাম্প।
সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে হওয়া এক মামলায় গেল মাসে ট্রাম্পকে প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেন নিউ ইয়র্কের বিচারক আর্থার এনগোরন। যা সুদসহ গলে এক মাসে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ অর্থ গেল ২৫ মার্চের মধ্যে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আর তা না দিতে পারলে ট্রাম্পের ব্যাংক একাউন্ট ও সম্পত্তির একাংশ জব্দ করা হতে পারে- এমন নির্দেশও দেয়া হয়।
তবে, ট্রাম্পের আইনজীবীরা প্রায় ৩০টি বিমা ও বন্ড কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেও প্রয়োজনীয় অঙ্কের বন্ড আদায় করতে পারেননি। ট্রাম্পের সম্পত্তি বন্ধক রেখে তারা সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নন।
ঋণ পেতে ট্রাম্প আগেই কিছু সম্পত্তি বন্ধক রাখার কারণেও সেটা সম্ভব হচ্ছে না বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন সাবেক ফেডারেল কৌঁসুলি অ্যান্ড্রু ওয়াইসম্যান।
এমন অবস্থায় জরিমানার অর্থ কমানোর অনুরোধ জানিয়ে আদালতে আবেদন জানান ট্রাম্পের আইনজীবীরা। সেই অনুরোধের উত্তরে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের জরিমানা কমিয়ে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার করেছেন বিচারক এনগোরন। একই সাথে জরিমানার অর্থ জমা দিতে ট্রাম্পকে আরো দশ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জমা দিতে না পারলে পুরো অর্থই দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সেই জরিমানার অর্থ সোমবার (১ এপ্রিল) পরিশোধ করেন ট্রাম্প। বিবৃতিতে তার আইনজীবী অ্যালিনা হাববা বলেন, `প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার জরিমানাকৃত অর্থ পরিশোধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগ আপিল আদালতের মাধ্যমেই তিনি এখন মোকাবিলা করবেন।
ট্রাম্পের বন্ডের এ ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্যালোফোর্নিয়া-ভিত্তিক ‘নাইট স্পেশালিটি ইনস্যুরেন্স’ কোম্পানি দিয়েছে বলে জানা গেছে।