সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

জ্যাকসন হাইটসে প্রবাসী বাংলাদেশী ফোরামের মত বিনিময় সভা: অন্তরবর্তী সরকারের কাছে ১৩ দাবি

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরামের ব্যানারে বাংলাদেশের অন্তরবর্তী সরকারের কাছে প্রবাসীদের পক্ষে ১৩ দফা দাবি পেশ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গেল ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে সিটির জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখারও প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় সভায়।

প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরামের আহ্বায়ক ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খালেদ মুহিউদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাসালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ও প্রতিষ্ঠাতা মাফ মিসবাহ উদ্দিন, আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান, অ্যাটর্নি শেখ সেলিম, কমিউনিটি বোর্ড ৯ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এন মজুমদার, মহসীন আর পাটোয়ারি, রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী ও ওয়াদুদ ভূঁইয়া।

যৌথভাবে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক আশরাফুল হাসান বুলবুল ও কমিউনিটির এক্টিভিস্ট শামীম আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ফখরুল আলম।

সভায় ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন কমিউনিটির এক্টিভিস্ট আহসান হাবীব। দাবিগুলো হল জাতীয় সংসদে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রবাসীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা; নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু; নিউইয়র্কসহ পুরো পৃথিবীল বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) চালু করা, যা এরমধ্যে ব্রিটেনে চালু হয়েছে; নিউইয়র্কসহ পুরো পৃথিবীর বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা; দেশের ভূমিদস্যুদের হাত থেকে প্রবাসীদের রক্ষা, বিশেষ করে চুক্তি মোতাবেক কেন জমি, প্লট ও অ্যাপার্টমেন্ট সহজে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর কাছে বুঝিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা; ঢাকাস্থ হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা; দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা; বাংলাদেশের অফিস-আদালতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বন্ধ করা ও প্রবাসীদের জন্য ঢাকায় চালু করা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ কার্যকর করা; প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থে গড়ে ওঠা অর্থনীতির লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার বন্ধ করাসহ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; বাংলাদেশ সফরকালে প্রবাসীদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা; বাংলাদেশে প্রবাসীদের ঘর-বাড়ি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষার ব্যবস্থা করা; কনস্যুলেট সেবা বৃদ্ধি করে প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়ন, জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, দেশের সম্পত্তি হস্তান্তরে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদানের মত কাজগুলো সহজ করা এবং যে কোন প্রবাসী বাংলাদেশির লাশ বিনা ব্যয়ে দেশে নেয়ার ব্যবস্থা করা।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সালেহা কাদির, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আবু নাসের, সোলায়মান ভুইয়া, আব্দুর রহিম হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী, কাজী আজহারুল হক মিলন, শাহজাহান শেখ, বদরুল হক, হাকিকুল ইসলাম খোকন, মজিবউর রহমান, আব্দুর রহমান, এনামুল হায়দার, হানিফ মজুমদার, খুরশীদ চৌধুরী, নাফিজ, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, আমিন খান জাকির, কামরুজ্জামান বাচ্চু, আলতাফ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন লিটন।

সভায় খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, ‘সব সময় বলা হয় জনগণ ক্ষমতার উৎস। সংবিধান দেখলে দেখবেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক। আর যারা দেশ পরিচালনা করেন, তারা কর্মচারী। যারা দায়িত্ব নেন, তারা কর্মচারী। কর্মচারীরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, এ জন্য তাদের ওপর চাপ তৈরি করতে হবে। তাদেরকে প্রশ্ন করতে হবে। মুহাম্মদ ইউনূস একজন কর্মচারী হয়েছেন, আমরা জনগণ ক্ষমতার মালিক।’

তিনি আরো বলেন, ‘যে কোন দাবি-দাওয়া আদায় করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলতে হবে। কোন ইস্যুতে ঐকমত্য হতে না পারলে কাঙ্খিত সাফল্য আসে না। আজকে আপনারা ১৩ দাবি তুলেছেন, সেসব দাবি ইউনূসকে জানাতে পারেন। তিনি সুইট টকার। তবে তিনি দাবি মেনে নিলেও লাভ হবে না। দাবিদাওয়ার মধ্যে রাষ্ট্রের প্রায়োরিটি কতখানি, তা দেখতে হবে। আপনারা যেসব দাবি করেছেন, আমি মনে করি, সব দাবি পূরণ করা উচিত।’