নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী থেকে ট্রান্সজেন্ডার সদস্যদের বহিষ্কার করবেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ ব্যবহার করে এ পদক্ষেপ নেবেন এবং তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই এটি কার্যকর হতে পারে। সংবাদ দ্য টাইমসের।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তবে, যেসব ব্যক্তি এরই মধ্যে সামরিক বাহিনীর পদে ছিলেন, তাদের চাকরি বজায় রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জো বাইডেনের সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
প্রস্তাব অনুসারে, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী যখন নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে- এমন এক সময়ে এল হাজার হাজার সামরিক কর্মীকে বরখাস্ত করার সংবাদ।
ফক্স নিউজের উপস্থাপক পিট হেগসেথকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। হেগসেথ এর আগে ‘দুর্বল’ ও ‘নারীসুলভ’ সামরিক নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি জানিয়েছে, এই মানুষদের এমন এক সময়ে বাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে যখন সামরিক বাহিনী যথেষ্ট লোক নিয়োগ করতে পারছে না। শুধুমাত্র মেরিন কর্পস তাদের নিয়োগের লক্ষ্য পূরণ করছে এবং যাদের উপর প্রভাব পড়বে তাদের মধ্যে কয়েকজন বেশ উঁচু পদে রয়েছেন।
কিছু সামরিক দাতব্য সংস্থা রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে। এলজিবিটিকিউ প্লাস সামরিক কর্মীদের পক্ষে প্রচারণা চালানো সংস্থা মডার্ন মিলিটারি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার নির্বাহী পরিচালক র্যাচেল ব্রানামান বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিন থেকেই যদি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, তবে এটি সামরিক প্রস্তুতিতে বাধা দেবে এবং আরও বড় নিয়োগ ও নিরাপত্তার সংকট তৈরি করবে। এছাড়া এটি প্রতিপক্ষের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতার ইঙ্গিত দেবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ যখন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ হাজার কম তখন ১৫ হাজারের বেশি সামরিক কর্মীকে আচানক বরখাস্ত করা যুদ্ধের ইউনিটগুলোতে প্রশাসনিক ভার বাড়াবে, ইউনিটের সংহতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার ঘাটতি বাড়াবে। এতে উল্লেখযোগ্য আর্থিক ব্যয় হবে। পাশাপাশি, অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের ক্ষতি হবে যা পূরণ করতে প্রায় ২০ বছর ও বিলিয়ন ডলার সময় লাগতে পারে।