সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউন প্ল্যান/‘আতঙ্কিত না হয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নিন’

সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউন প্ল্যানে মোটেও আতঙ্কিত হবেন না। বরং, অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন। যেসব বংলাদেশির ডিপোর্টেশন অর্ডার নেই ও ইমিগ্রেশনে আবেদন পেন্ডিং আছে, তাদেরও ভয়ের কোন কারণ নেই।’

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করে এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অভয় দিলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের পালকি পার্টি হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইমিগ্র্যান্টদের পক্ষে কাজ করা বাংলাদেশি আমেরিকানদের সংগঠন ইমিগ্র্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল ইনক।

আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর নথিপত্রহীন অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগানোর ঘোষণা আসছে বলে প্রচারণা চলছে। এতে করে অভিবাসীদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে এবং এ সময় কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সেই সচেতনতা তৈরিতে এ সংবাদ সম্মেলন বলে জানান সংগঠনটির পরিচালক তরিকুল ইসলাম মিঠু।

এতে মঈন চৌধুরী বলেন, ‘ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল প্রোগামে খুব বেশী পরিবর্তন আসবে না। তবে, ট্রাম্প চাইলে ভাল কিছুও হতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যারা এ দেশে ওভার স্টে করছেন, তাদের উচিত হবে অভিজ্ঞ অ্যাটর্নির সাথে পরামর্শ করে আবেদনের মধ্যে থাকা। তাহলে তাদের ভয়ের কিছু থাকবে না। যাদের যুক্তরাষ্ট্রে কোন প্রকার নথিপত্র নেই, তারা চাইলে আদালতের কাছে আশ্রয় চাইতে পারেন।’

মঈন চৌধুরী বলেন, ‘যাদের ডিপোর্টেশন অর্ডার আছে এবং ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, তাদের জন্য বিষয়টি আতঙ্কের। তারা চাইলে আগেভাগে অ্যাটর্নির সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তাদের চুপ করে বসে থাকা একেবারেই উচিত হবে না।’

নথিপত্রহীন ডিপোর্টেশনে যুক্তরাষ্ট্রের আইন এখনো বলবৎ রয়েছে উল্লেখ করে অ্যাটর্নি মঈন বলেন, ‘এ ধরনের অনেকেই এ দেশ থেকে ডিপোর্টেড হচ্ছেন। তবে যাদের আদালত ও ইমিগ্রেশন অফিসে কোন কেস পেন্ডিং আছে, তাদের ভয়ের কারণ নেই।’

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে- এ প্রসঙ্গে মঈন চৌধুরী বলেন, ‘এটি বন্ধ করতে হলে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে পরিবর্তন আনতে হবে। এ জন্য কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন। যা অনেকটা অনিশ্চিত বলে মনে হয়।’