বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা; মঙ্গলবার বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সংলাপ

সোমবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: দুই দেশের সরকারের মধ্যে ‘ব্যাপক নিরাপত্তা সম্পর্কের’ অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ব্যুরো অব পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক। এ জন্য সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) তিনি ঢাকায় এসেছেন।

নিরাপত্তা সংলাপ হল একটি বার্ষিক ও বেসামরিক নেতৃত্বাধীন আলোচনা; যা দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কের সব উপাদানকে স্পর্শ করে।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করবেন।

দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব রয়েছে ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনেক স্বার্থ রয়েছে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল স্বাধীন, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশই অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।

গণমাধ্যমে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই পারস্পরিক উদ্দেশ্যগুলো অনুসরণ করার জন্য আমরা পুরো বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের সংলাপ করি।’

চলতি বছরের নিরাপত্তা সংলাপটি ঢাকায় ২৩ ও ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপের ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করে। সেই দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর জেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সামরিক শিক্ষা, শান্তিরক্ষা ও আসন্ন সামরিক মহড়াসহ উভয় সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে আগামী বছরের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া অনুশীলন ও বিনিময়।

রেজনিক আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অস্ত্র স্থানান্তরের ব্যুরোর অফিসের তত্ত্বাবধান করেন, যা বিদেশি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয়, তৃতীয় পক্ষের স্থানান্তর এবং অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা আইনের মাধ্যমে সরকার থেকে সরকারি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম স্থানান্তরে বছরে ৪০ বিলিয়নের বেশি পরিচালনা করে।

মিরা রেজনিক নিরাপত্তা সহায়তা ব্যুরোর অফিসের জন্যও দায়িত্বপ্রাপ্ত। যেটি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা খাতে বছরে প্রায় ছয় দশমিক পাঁচ বিলিয়ন সহায়তা পরিচালনা করে; প্রতিরক্ষা বিভাগের নিরাপত্তা খাতের সহায়তা কর্মসূচিতে নয় বিলিয়ন ডলারের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের তদারকি, পরিকল্পনা ও যোগান দিতে সমন্বয় করে এবং প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা ও সামরিক কার্যকলাপের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টকে যোগান দিয়ে থাকে।

নিরাপত্তা সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলাসহ দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয় রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করতে পারে বাংলাদেশ। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা ইস্যুটি হুমকি হিসেবেও আলোচনায় আসতে পারে।

গের বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপে, দুই পক্ষ জিএসওমিয়া এবং এসিএসএর মত প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ করেছিল। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

সামরিক তথ্য চুক্তির জেনারেল সিকিউরিটি (জিএসওএমআইএ) এবং অধিগ্রহণ ও ক্রস সার্ভিসিং চুক্তি (এসিএসএ) একটি ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক সক্ষম করতে, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, তথ্য আদান-প্রদান এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সামরিক পর্যায়ে সহযোগিতার সুযোগ প্রসারিত করা ‘প্রয়োজন’।

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ফলোআপ হিসেবে এই বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে।