চট্টগ্রাম: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন ব্রিফিংকালে বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন দূর্গম এলাকা থেকে রোগীদের হাসপাতালে আনা কষ্টকর হয়ে যায়। কিন্তু, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার মান আরো উন্নত করতে পারলে মানুষকে কষ্ট করে শহরে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে না। এর ফলে চট্টগ্রাম মেডিকেলের উপর চাপ কমবে। তাই, আমার নির্দেশ হল তৃণমূল পর্যায় থেকেই চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করতে হবে।’
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সিটির কাজীর দেউড়িস্থ সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয় আয়োজিত মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাক্তার মো. মহিউদ্দিনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সিভিল সার্জন, তত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘নানা জায়গায় অভিযোগ আসে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। আপনারা দেখেছেন রোগী মারা গেলে হাসপাতালে ভাংচুর, চিকিৎসদের গায়ে হাত তোলা হয়, এগুলো বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে বা তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে প্রয়োজনের সময়ে চিকিৎসদের পাওয়া যাবে না। আবার চিকিৎসকরাও যদি কর্তব্য পালনে কোন অবহেলা করে, সেটি কোনভাবে মেনে নেয়া যাবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের সভায় নানা সমস্যা যেমন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবলের ঘাটতি রয়েছে- সেগুলো উঠে এসেছে। তাছাড়া, পাহাড়ি অঞ্চলের একটি রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া বহু সময়ের ও কষ্টের বিষয়। এগুলো আমি শুনেছি এবং পরবর্তী মন্ত্রণালয়ের সভায় আমি এসব ব্যাপার নিয়ে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।’
ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি আমার প্রথম সফর চট্টগ্রাম থেকে শুরু করেছি। কারণ, এ চট্টগ্রাম আমাকে ডাক্তার বানিয়েছে। তাই, আজকে আমি এ জায়গায় আসতে পেরেছি। আমরা একঙ্গে কাজ করলে স্বাস্থ্য খাতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে। আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি নই, তারপরেও আমি আপনাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করি, যাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি।’