নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনে একটি বড় সাফল্যের সাক্ষী হল ‘তৃতীয় বার্ষিক বিজনেস এক্সপো-২০২৪’ । ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউএসবিসিসিআই) উদ্যোগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) নিউইয়র্ক সিটির লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়টে এ এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী এ ইভেন্টের থিম ছিল বাজারের ব্রিজিং, সুযোগের চাষ ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সংযোগ স্থাপন। থিমের ওপর ভিত্তি করে ইভেন্টটি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের কৌশল নিয়ে কাজ করেছে।
বিজনেস এক্সপোতে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কের গুরুত্ব এবং নতুন দিক সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন। বিভিন্ন পর্বে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণমূলক বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মার্ক জাফ, কুইন্স চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট টমাস জে গ্রেচ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কন্সাল জেনারেল নাজমুল হাসান, নিউইয়র্ক অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৩৬’-এর অ্যাসেম্বলিম্যান জোহরান কে মামদানি।
তারা সকলেই এক্সপোর প্রশংসা করেন এবং বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। বিশেষ করে নতুন ব্যবসায়ীরা এ এক্সপোকে অন্যতম অবলম্বন হিসেবে মনে করছেন।
নিউইয়র্কে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসনের নির্বাহী উপদেষ্টা জেনি লো সেমিনারে অংশ নিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশি নারী ব্যবসায়ীরা কোন উদ্যোগ নিলে সহজেই প্রয়োজনীয় ঋণ পাবেন। সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীদের জন্য বিরাজমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নিউইয়র্ক সিটির শত-সহস্র নারী ইতোমধ্যেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। বাংলাদেশি উদ্যমী নারীরাও সে সুযোগ নিতে পারবেন।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তি নিয়ে প্যানেল আলোচনায় মডারেটর ছিলেন মফিজুল ইসলাম। এ পর্বে আলোকপাত করেন এসজে ইনোভেশনের সিইও শাহেদ ইসলাম, আলগোরিজিনের সিইও সিয়াম হোসেন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ জামান।
শত-সহস্র উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীর সরব উপস্থিতির এ এক্সপোতে বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজ সম্প্রসারণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন খলিল বিরিয়ানি হাউসের স্বত্বাধীকারি খলিলুর রহমান।
এ সময় ব্যবসায়ের জন্য অর্থায়ন পেতে ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রশাসনের ঋণের সুযোগ ও প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মডারেটর ছিলেন সিপিএ আহাদ আলী এবং আলোচনায় অংশ নেন সিটিজেন্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিসা পিনহাস, আইআর ই কমার্সের সিইও ইসমাইল আহমেদ।
সমাপনী পর্বে লিটন আহমেদ বলেন, ‘এ এক্সপো আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। আমরা এ সফল আয়োজনের জন্য গর্বিত এবং ভবিষ্যতে আরো বড় আকারে এটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছি।’
ইউএসবিসিসিআই ইতোমধ্যে চতুর্থ বার্ষিক বিজনেস এক্সপো ২০২৫’-এর পরিকল্পনা শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেন লিটন আহমেদ।