নেপিদো, মায়ানমার: ট্যাঙ্ক ও ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চার পরিবেষ্টিত মায়ানমারের জান্তা প্রধান সোমবার (২৭ মার্চ) বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত রাখার কথা ব্যক্ত করে জোরদিয়ে বলেছেন, ‘সামরিক বাহিনী দেশে নির্বাচনের আয়োজন করবে।’ দেশে ভোটের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ সংখ্যক এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই- এমন কথা স্বীকার করার কয়েক সপ্তাহ পর তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর এএফপির।
নির্বাচনে জালিয়াতি অপ্রমাণিত দাবি করে সেনাবাহিনী দুই বছর আগে অং সান সু চির বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মায়ানমারে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ অভ্যুত্থান জাতিগত বিদ্রোহীদের সাথে নতুন করে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায় ও কয়েক ডজন জান্তা বিরোধী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফ) জন্ম দেয়। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এখন যুদ্ধে বিধ্বস্ত ও আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ঘোষিত রাজধানী নেপিদোতে বার্ষিক সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করা প্রায় আট হাজার সেনা সদস্যের উদ্দেশ্যে মিন অং হলাইং বলেন, ‘জান্তা সরকার বিরোধীদের ও তাদের সমর্থনকারী জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ’ নেবে।’
‘জাতীয় ঐক্য সরকারের’ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এনইউজি’র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং এর অনুগত তথাকথিত পিডিএফ-কে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘জান্তা সরকার জরুরি অবস্থা শেষ হলে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ করবে।’
গত মাসে সামরিক বাহিনী জরুরি অবস্থার মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দেয় ও নির্বাচন স্থগিত করে। এর আগে তারা আগস্ট নাগাদ দেশে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
মিন অং হলাইং কুচকাওয়াজে অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যে কোন নির্বাচনের আগে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ।’
স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ গ্রুপের মতে, মায়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে তিন হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ দিকে, জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে যুদ্ধের কারণে দশ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।