দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়: পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় ২০১৬ সালে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর ২০২১ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক সরকার দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয় পায়। মেয়রের চেয়ারে বসার পর পৌরসভার সচিব ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ারকে সাথে নিয়ে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে দেবীগঞ্জ পৌরসভাকে। মেয়রের সেচ্ছাচারিতা এতটায় ভয়াবহ যে, কোন কাউন্সিলরের মতামতের তোয়াক্কা করেন না। গত ১২ মার্চ পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবর দেবীগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. নূর নেওয়াজ লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ‘পৌরসভার রাজস্ব, হোল্ডিং ট্যাক্স, হাট বাজার দরপত্র, জন্ম পরিচয় সনদ, দোকান লাইসেন্স, জমির রেজিস্ট্রেশনে নূন্যতম দুই শতাংশ আদায়, ঠিকাদার লাইসেন্স, ওয়ারিশ সনদ ও বিভিন্ন আয় বাবদ প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যায় করলেও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কিছুই জানেন না। এছাড়াও, ২০২০-২১ অর্থ বছরে দুই কোটি টাকার সোলার ইস্ট্রিট বরাদ্দ পায়। এখানে কম দামী ৩০-৩৫ হাজার টাকা মূল্যের পণ্য ব্যবহার করে। যার ফলে বিভিন্ন রাস্তায় লাইট অকেজো হয়ে পড়েছে। কিন্তু, প্রতিটি সোলারে প্রায় এক লাখের বেশি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০২০-২১-২২-২৩ অর্থ সালে এডিবির কাছ থেকে এক কোটি ১৪ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়ে পৌরসভার ড্রেন, কালভার্ট,ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করার কথা থাকলেও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে নি। মশা নিধনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ পেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
সোমবার (২৭ মার্চ) অনাস্থা জানিয়ে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেছেন পৌরসভার সব কাউন্সিলর। জেলা প্রশাসক ছাড়াও অভিযোগের কপি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবু বকর সিদ্দিককে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি কোন দুর্নীতি করি নি। তবে ৫-৬ বছরে কোন অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি, যা আমার ব্যর্থতা।’