চট্টগ্রাম: এখন নতুন বইগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে বলা হচ্ছে, নতুন বইয়ে ইসলাম ধর্ম বিরোধী বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। এটা কখনো সত্য নয়। পশ্চিমবঙ্গের অনেক পুরাতন প্রথম শ্রেণী বর্ণ পরিচয়ের বইয়ের সাথে আমার ছবি সংযোজন করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অথচ সেটি এখন পশ্চিমবঙ্গেও চলে না। দেশ বিরোধীরা সরকারের দোষ খুঁজে না পেয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ছড়াও হয়েছে। সুতরাং, জনগনকে জানতে হবে, দেশে একটা অপশক্তি আছে, যারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিরোদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা শুধু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নয়, দেশের অগ্রযাত্রাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। অপপ্রচারকারীরা দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা বিরোধী।’
শনিবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের দশম সমাবর্তনে শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।
সাবেক ব্রিটিশ ফার্স্ট লেডি চেরি ব্লেয়ারের সভাপতিত্বে এতে অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি রুবানা হক, সমাবর্তন বক্তা ছিলেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস জন সেক্সটন।
এতে দীপু মনি আরো বলেন, ‘আমি অত্যান্ত গর্বিত ও আনন্দিত এ জন্যই যে, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির মত একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে। গত ১৫ বছর ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বদমানের গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে। আমার প্রত্যাশা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এশিয়ান নারীদেরকে আগামীর নেতৃত্বের জন্য ও সমাজকে বদলে দেয়ার জন্য তৈরি করবে।’
প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে নতুন বই দেয়া না পাওয়ার প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, গত বছর দেশের কাগজ শিল্পে বিরাট সমস্যার কারণে কাগজের সংকট ছিল। এত সংকটের মাঝেও আমরা এর মধ্যেই ৮০ ভাগ বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। বাকি বই জানুয়ারি মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১৮ দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে বিগত তিন বছর সমাবর্তন হয়নি। এবার ২০২০, ২০২১, ২০২২ শিক্ষা বর্ষের ৩০০ স্নাতককে সনদ দেয়া হয়। তিন বছর পর হলেও সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকরা।
পরে তিনি চট্টগ্রামের নেভি কনভেনশন হলে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি একটি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। পরে স্নাতক পর্যায়ের একটি ইনস্টিটিউট আর এখন ইউনিভার্সিটি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। আমাদের দেশে প্রচুর জনবল থাকলেও গার্মেন্টস শিল্পের দক্ষ জনবলের একটা বড় অংশ আশে বিদেশ থেকে। তাই, আমরা বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিসহ দেশের বিষেশায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে দেশের জনবলকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করতে চাই।’