শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্ক সিটি ট্রাফিক পুলিশ ইউনিয়নের নির্বাচনে সাদিক-সাঈদ প্যানেল জয়ী

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের ট্রাফিক এজেন্টদের ইউনিয়ন (সিডব্লিউএ লোকাল-১২৮২) নির্বাচনে সাদিক-সাঈদ প্যানেলের জয় হয়েছে। নির্বাচনে হেরে গেছেন আরেক প্রার্থী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাংলাদেশী-আমেরিকান সাঈদ রহিম। গেল ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়নের রান অফ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ‘সাদিক-সাঈদ’ প্যানেল মেজোরিটি পদে জয় পেয়েছে। নিউইয়র্কের সিটি ট্রাফিক বিভাগে বাংলাদেশিরা একক সংখ্যাগরিষ্ট হলেও এবারের নির্বাচনে তাদের মধ্যে চরম অনক্য দেখা গেছে। দীর্ঘ দিন ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশি সাঈদ রহিম। স্বদেশীদের মধ্যে অনৈক্যের কারণে নেতৃত্ব থেকে এবারে তাকে সরে যেতে হয়েছে।

ইউনিয়নের মোট নয়টি পদের বিপরীতে সাদিক-সাঈদ প্যানেল থেকে সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন ডেলিগেট নির্বাচিত হয়েছেন। অপর দিকে, ‘রহিম-উতবা’ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনজন ডেলিগেট। নির্বাচিত সভাপতি হলেন আলেকজান্ডার সাদিক, সহ সভাপতি সকুনবি ওলোফেমি ও সাধারণ সম্পাদকরা সাঈদ ইসলাম। সভাপতি পদে সাঈদ রহিম দুদু মিশরীয় বংশোদ্ভুত আলেকজান্ডার সাদিকের নিকট পরাজিত হন।

গেল বছর নভেম্বরে ট্রাফিক পুলিশদের ইউনিয়ন সিডব্লিউএ লোকাল ১১৮২ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু, সভাপতি, সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা প্রদত্ত ভোটের ৫১ ভাগ না পাওয়ায় তারা রানঅফের মুখোমুখি হন। এ তিনটি পদে পোস্টাল ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গেল ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে আলেকজান্ডার সাদিক ৭১৯ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সৈয়দ রহিম দুদু পেয়েছেন ৫২৫ ভোট। বাংলাদেশী রহিম এর পূর্বে এক বার সহসভাপতি ও তিন বার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাংলাদেশী সাঈদ ইসলাম ও সৈয়দ উতবা। সাঈদ ইসলাম ৭৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। উতবা পেয়েছেন ৪৯৬ ভোট। ‘সাদিক-সাঈদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডেলিগেটরা হলেন শিবলী চৌধুরী কায়েস, কোলন জন ও শামীম হোসাইন। অপর দিকে, ‘রহিম-উতবা’ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডেলিগেটরা হলেন পঙ্কজ রায়, শাহাদত হোসেন ও মোহাম্মদ আলম।

নির্বাচনে মোট দুই হাজার ৪০ জন সদস্যকে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানো হয়। এর মধ্যে সদস্যদের ভোট দেয়া ব্যালট ফিরে আসে মোট এক হাজার ২৭৬টি। ১৭টি ভোট ভয়েড ও ডুপ্লিকেট হয়। সব মিলিয়ে এক হাজার ২৫৯ ভোট গণনা করা হয়।

প্রসঙ্গত, এ নির্বাচনে নয় সদস্যের নির্বাচিত কমিটির ছয়জনই বাংলাদেশী। ট্রাফিক পুিলশ ইউনিয়নের মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এরমধ্যে বাংলাদেশীর সংখ্যা ছয় শতাধিক।