শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউ ইয়র্কে সর্ববৃহৎ কবরস্থান স্থাপনের উদ্যোগ বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির

সোমবার, মার্চ ১১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য একক সর্ববৃহৎ কবরস্থান স্থাপনের জন্য জায়গা কিনেছে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি। অন্তত এক লাখ কবরের স্থান হবে এখানে। জায়গার পরিমাণ ১২৬ একর। স্থানটি নিউ ইয়র্কের আপস্টেটের মিডল টাউনে। সিটি থেকে মিডল টাউনের দূরত্ব ৭০ মাইল। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ ৪০ হাজার কবরের স্থান তৈরি হয়ে যাবে। বাকি ৬০ হাজার কবরের স্থান তৈরি হতে আরো বছর খানেক সময় লাগতে পারে।

জমির দাম ও উন্নয়ন খরচসহ এ সেমিটারির দাম প্রায় তিন মিলিয়ন ডলার। কবরস্থানটিকে এরমধ্যে টাউন প্লানিং বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে। এ সেমিটারি প্রজেক্টের মূল দায়িত্বে রয়েছেন নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের একক কোন সেমিটারি নেই। আমাদের কেউ মারা গেলে কবরস্থান খুঁজতে কখনো আমরা লং আইল্যান্ড, কখনো নিউজার্সিতে দৌঁড়াই। এ সেমিটারি নোয়াখালী সোসাইটির উদ্যোগে কেনা হলেও এটি হবে সব বাংলাদেশির জন্য। নাম হবে ‘বাংলাদেশ সেমিটারি’। যে কোন জেলা কিংবা উপজেলা সংগঠন এখানে কবর কিনতে পারবে। কোন বাংলাদেশি মারা গেলে ব্যক্তিগতভাবেও যে কেউ কবর কিনতে পারবেন। এটি হবে সম্পূর্ণ মুসলিম কবরস্থান। মুসলিম কৃষ্টি ও চিন্তাধারায় এটি পরিচালিত হবে।’

মিডল টাউনে এ সেমিটারির জায়গা কেনা প্রসঙ্গে জাহিদ মিন্টু বলেন, ‘আমরা নিউ ইয়র্ক, নিউজার্সি এবং লং আইল্যান্ডসহ সাতটি জায়গা দেখেছিলাম। দূরত্ব, মাটির নীচে পানির স্তর, মাটির কোয়ালিটি ও সেমিটারির আয়তনের ব্যাপারটি বিবেচনা করেই মিডল টাউনকে বেছে নেয়া হয়েছে। সিটি থেকে মাত্র দেড় ঘন্টায় অনায়াসে পৌঁছানো যায়। সেমিটারির ভেতরে একটি ভবন তৈরি করা হবে। সেখানে অফিসসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে। বাংলাদেশিরা সেখানে গিয়ে নিজেদের ঠিকানা খুঁজে পাবেন।

তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হোসেন মানিক, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ জসিম ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানসহ পুরো কমিটি সহায়তা করছেন।’