শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিরীহ ব্যক্তির জমি দখলে মরিয়া আগ্রাবাদের ‘ডেলমার্স গার্মেন্টস’

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ডেলমার্স গার্মেন্টসের বিরুদ্ধে নিরীহ ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে। এ অবস্থায় ভূমি দস্যু ও মামলাবাজ গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের কবল থেকে ভূমি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটির আগ্রাবাদ ডবলমুরিং থানাধীন মিস্ত্রী পাড়ার জেবল আহাম্মদ লেইনের বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন। জমি উদ্ধার ও ডেলমার্স গার্মেন্টস মালিকপক্ষের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে বিজিএমইএ এর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। সহযোগিতা চেয়ে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএ এর প্রথম সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে আবেদনপত্র দিয়েছেন মো. ইকবাল হোসেন। এ ছাড়া, একই বিষয়ে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি শিল্প পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন এ বিষয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মো. ইকবাল হোসেনের জমির খতিয়ান নম্বর ৪৬৩ ও দাগ নম্বর ৬২২। মিস্ত্রী পাড়ায় ডেলমার্স গার্মেন্টসের সীমানার সাথে লাগানো তার ভূমির সীমা প্রাচীর। মো. ইকবাল হোসেনের মোট জমির পরিমাণ সাড়ে চার শতক বা দুই গন্ড এক কড়া। বেশ কিছু দিন ধরে ডেলমার্স গার্মেন্টসের মালিক মো. হোসেন ও গার্মেন্টসের জমির মালিক মো. সাদেক আলি, মো আকতার হোসেন ও মঈনুল হোসেন সাগর কিছু টাকার বিনিময়ে জমি বিক্রি করার জন্য মো. ইকবাল হোসেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে। তাতে রাজি না হওয়ায় মো. ইকবাল হোসেনকে বিভিন্নভাবে গালি-গালাজ ও হুমকি-ধমকি দিতে থাকে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ডেলমার্স গার্মেন্টস মালিক পক্ষ ভূমি দস্যু, মামলাবাজ ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। মো. ইকবাল হোসেনের জমির সীমানার সাথে লাগানো তাদের ৪-৫টি গাছ ছিল। ১৪-১৫ দিন আগে গাছ কাটার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে সীমানার দেয়ালের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলে তারা। প্রতিবাদ করলে তারা দেয়ালটি মেরামত করে দিবে বলে জানান। মো. ইকবাল হোসেন টিন দিয়ে তা ঘিরে রাখেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টার দিকে জমি দখলে নেয়ার জন্য ইট, বালি ও সিমেন্ট নিয়ে গার্মেন্টসের মালিকসহ সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে জড়ো হয়। মো. ইকবাল হোসেন, তার ভাই রেজাউল করিম বাবলু ও আরাফাতকে নিয়ে এর প্রতিবাদ করলে গার্মেন্টস মালিক পক্ষসহ সন্ত্রাসীরা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। দখলদাররা কিছু দিনের মধ্যে জমি দখলে নেবে ও বাঁধা দিলে ফল ভাল হবে না বলে মো. ইকবাল হোসেনকে হুঁশিয়ারি দেয়। এ বিষয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে শিল্প পুলিশের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন তিনি। শিল্প পুলিশ ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি সার্ভেয়ারসহ বৈঠকের সিদ্ধান্ত দেয়। গার্মেন্টস মালিক পক্ষ এ সিদ্ধান্ত না মেনে ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টার দিকে মো. ইকবাল হোসেনের জমির পুরো সীমানা ভেঙ্গে ফেলে। মো. ইকবাল হোসেন ওই দিন আদালতে একটি মামলা করলে আদালত জমির উপর ১৪৫ ধারা জারি করে আদেশটি থানা জমা করে। ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টার দিকে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ ফের জমিতে কাজ শুরু করলে ডবলমুরিং থানায় জানান মো. ইকবাল হোসেন। থানা থেকে এসআই আবদুল গফুর ঘটনা স্থলে যায়। যাওয়ার সাথে সাথে গার্মেন্টস মালিক পক্ষ উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে মারধর শুরু করে। বাঁধা দিলে পুলিশকেও লাঞ্চিত করে। এ সময় ডেলমার্স গার্মেন্টসের ৬০০-৭০০ মহিলা শ্রমিককে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে থানায় মিথ্যা মামলা নিতে বাধ্য বাধ্য করে।’

জমি ফিরে পেতে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে জমি উদ্ধার এবং পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মো. ইকবাল হোসেন।