বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নির্বাচন বর্জন, ৯ ডিসেম্বর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা পাঁচ দলীয় বাম জোটের

রবিবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: নির্বাচন বর্জন করে ঘোষিত তফসিল বাতিল সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে পাঁচ দলীয় বাম জোট।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ১৪ পুরানা পল্টন জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঁচ দলীয় বাম জোটের জরুরি সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সভাপতি কমরেড এমএ সামাদ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিধান দাস, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির (মার্কসবাদী) সভাপতি কমরেড আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মাওবাদী) সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, পাঁচ দলীয় বাম জোটের সাথে যুগপৎ যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক পার্টির সভাপতি কমরেড হেলাল উদ্দিন।

সভায় নেতারা বলেন, ‘সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের, সব বিরোধী রাজনৈতিক দল ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মতামত উপেক্ষা করে অবৈধ অগণতান্ত্রিকভাবে একতরফা নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করেছে। আমরা এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি। সরকার র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, গুন্ডা বাহিনী দিয়ে দেশে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা দেশব্যাপী গ্রেফতার মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ফ্যাসিবাদ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করে জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। ফের সামনে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। দেশের ১৬ কোটি জনগনের মৌলিক অধিকার ভোটের অধিকার হরণ করে রেখেছে। লুটপাট দুর্নীতি অর্থ পাচার করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের সব রাজনৈতিক দল ও ১৬ কোটি জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়, এই সরকারের পদত্যাগ চায়।’

নেতারা আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জানোয়ার বলে আখ্যায়িত করেছেন। ঠিক ইয়াহিয়া টিক্কা খানরা বাঙালিদের সাথে যেমন আচরণ করত, শেখ হাসিনাও ঠিক একই রকম আচরণ করছে বিরোধী দলের সাথে। গুম খুন হামলা মামলা গ্রেফতার করে দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ আতংকিত। শেখ হাসিনা হিটলারের মতই আচরণ করছে জনগণের সাথে।’

নেতারা বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিরোধীদলের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ, দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই একতরফা তফসিল ঘোষণা বাতিল ও সরকারের পদত্যাগ ও দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছি।’

নেতারা এই একতরফা পাতানো নির্বাচন প্রতিরোধ করতে রাজপথের আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

সভায় আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেনভ এর মধ্যে সরকার দাবি না মানলে সামনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।