ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় থাকা প্রতিষ্ঠানটির পণ্য সরবরাহকারী বা সাপ্লায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি সেশন সম্পন্ন করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) গুলশানে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে এ অনুষ্ঠান হয়েছে।
বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে ১০০টিরও বেশি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘‘সাউথ এশিয়া সাপ্লায়ার্স কনভেনশন ২০২৩’ শীর্ষক এ সেশনে যোগ দেয়। অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে অসামান্য সমর্থন অব্যাহত রাখায় ২৩টি সাপ্লায়ার প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে এই কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি, সাপ্লায়ারদের সাথে প্রকিউরমেন্ট রুলস (কেনাকাটার নিয়মাবলী) ও পণ্যের গুণগত মান নিয়ে আলোচনা করার সুযোগও তৈরি করে এই প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যান জুংফেং ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল তুলে ধরেন ও পরবর্তী বছরের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। তিনি সাপ্লায়ারদের বরাবরের মতই দক্ষতার সাথে কাজ করা, হুয়াওয়ের নীতিমালা মেনে চলা ও সেবার মান বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশনা দেন। এগুলোই বৃহত্তর সাফল্য অর্জনের চাবিকাঠি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্যান জুংফেং বলেন, ‘গেল ২৫ বছরে, হুয়াওয় বাংলাদেশের ডিজিটাল ও স্মার্ট রূপান্তরের চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রায়, আমাদের বিশ্বাসযোগ্য সহযোগীদের প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আমরা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সহযোগীদের সমর্থন পাওয়ার আশা রাখি। যাতে আগামী বছরগুলোতে আমরা সম্মিলিতভাবে আরও বৃহৎ পরিসরে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারি। আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প অর্জনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দেশের প্রবৃদ্ধিতে আরো বেশি অবদান রাখার লক্ষ্য রয়েছে।’
হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সিএফও, লিউহাও, বলেন, ‘হুয়াওয়ে গেল ২৫ বছরে ধরে বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলংকায় বিভিন্ন ধরনের আইসিটি পরিষেবা ও পণ্য দিয়েছে। এ সময় হুয়াওয়ে সরকারি কোষাগারে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রাজস্ব দিয়েছে, স্থানীয়ভাবে এক হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি দামের পণ্য কিনেছে ও এসব দেশে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।’
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের অবদান তুলে ধরতে হুয়াওয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করে। এই ধরনের অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠান হুয়াওয়ের সহযোগীদের একটি একক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে ও একসাথে কাজ করতে সহায়তা করবে।