দোহা, কাতার: পাঁচ মার্কিনিকে মুক্তির বিনিময়ে ইরানকে কয়েক শত কোটি ডলার ফেরত দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, ইরানের কিছু নাগরিককেও ফেরত দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য দুই দেশ একটি চুক্তি করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে কাতারে রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন। তারা সেখানে বন্দি বিনিময় করবেন বলে জানা গেছে। খবর সিএনএনের।
ইরানে আটক পাঁচ মার্কিন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ হওয়া ইরানের প্রাপ্য অর্থ হস্তান্তর করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তাদের কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি হিসেবে রাখা হয়েছে। ইরানের রাজধানী তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগার থেকে তাদের মধ্যে চার জনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি হোটেলে স্থানান্তর করা হয়। এক জনকে কয়েক সপ্তাহ আগেই একটি বাড়িতে নেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন সেই বন্দি ও তাদের পরিবারের দুঃস্বপ্ন শেষ হচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেন। মার্কিন বন্দিদের প্রতি এমন নরম আচরণের বদলে ইরানও কিছু ছাড় আদায় করতে চলেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে।
গোপন আলোচনা সম্পর্কে অবহিত কয়েক জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগাম পদক্ষেপ হিসেবে ইরান শর্ত সাপেক্ষে ৬০০ কোটি ডলারের নাগাল পেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রেরা নিষেধাজ্ঞার কারণে পেট্রোলিয়াম বিক্রি করে প্রাপ্য সেই অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ করা হয়েছিল। এবার কাতারে বিশেষ এক একাউন্টে সেই অর্থ পাঠানো হবে। একমাত্র খাদ্য ও ওষুধপত্র কেনার মত মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ইরানের সরকার সেই ইউরো একাউন্ট থেকে অর্থ ব্যয় করতে পারবে।
অ্যান্টনি ব্লিনকেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেই অর্থ ইরানেরই ছিল। তিনি নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে কোন রকম ছাড়ের সম্ভাবনা আপাতত উড়িয়ে দিয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, প্রাপ্য অর্থের ছাড়পত্র পাওয়ার পরই বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে। ইরান অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এই বোঝাপড়াকে বন্দি বিনিময় হিসেবে তুলে ধরছে।