শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পানি ছাড়ার পূর্বে বাংলাদেশকে জানানোর ব্যাপারটি ভারত প্রতিপালন করেনি

শুক্রবার, আগস্ট ২৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

হবিগঞ্জ: অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পানি ছাড়ার পূর্বে বাংলাদেশকে জানানোর ব্যাপারটি ভারত প্রতিপালন করেনি। উজানের দেশে যদি অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয় ও পানি ছেড়ে দেয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে ভাটির দেশকে পূর্ব থেকেই জানানোর প্রয়োজন হয়। যাতে করে ভাটির দেশের লোকজন নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে ও লোকজনকে সরানো যায়। কিন্তু, এবার এ জানানোর ব্যাপারটি ভারত প্রতিপালন করেনি। ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তিতেও এমনটি বলা হয়েছে।’

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মশাজান খোয়াই নদীর ব্রীজ এলাকায় জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর তিন এসব কথা বলেন।

এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘এবারের ব্যাপার থেকে শিক্ষা নিয়ে যত অভিন্ন নদী রয়েছে, সেগুলোর সবকয়টার বিষয়েই পানি ছেড়ে দেয়ার প্রশ্ন দেখা দিলে যাতে আগাম সতর্কতা বাংলাদেশকে জানানো হয়, সেই বার্তা ভারতে দেয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্ট ইউনুস ভারতীয় দুতাবাসকে ব্যাপারটি জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে এমন অবস্থা না হয় তার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সমস্যা আসবেই। কিন্তু, এটি না জানানোর কারণে যাতে মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে বন্যামুক্ত রাখতে নদীকে নদীর মত রাখা উচিত। বাঁধগুলো সুরক্ষিত রাখা উচিত।’

উপদেষ্টা ওই এলাকার গোপায়া ও রাঙ্গারগাও গ্রামের পাশে খোয়াই নদীর বাঁধ পায়ে হেটে দেখেন। এ সময় শত শত লোক তাকে বালু ও মাটি উত্তোলনের কারণে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ব্যাপারটি অবগত করেন। তিনি সকলের কথা মনযোগ সহকারে শুনেন।

এর পূর্বে, তিনি জেলার সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত সোম মহান, জেলার পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজির ও মেজর ইশরাত।

উপদেষ্টা বন্যার ব্যাপারে হবিগঞ্জের অবস্থা অবগত হন।

এ সময় খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তেফাজ্জল সোহেল ও বাপার সভাপতি ইকরামুল ওয়াদুদ হবিগঞ্জ জেলার পরিবেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একটি চিঠি দেন। সেখানে দাবী করা হয়, জরুরি ভিত্তিতে খোয়াই নদী খনন, খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন বন্ধ, পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করণ, পুকুর ও জলাশয় দখলমুক্ত করণ ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধ করা। উপদেষ্টা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তার পৈত্রিক গ্রাম চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের নরপতি হাবিলিতে উপস্থিত হয়ে পিতা প্রাক্তন মন্ত্রী সৈয়দ মহিবুল হাসানের কবর জিয়ারত করেন। পরবর্তী মুড়ারবন্দ সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনের মাজার জিয়ারত করেন তিনি।