চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলার নতুন প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, ‘দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা রাজধানী হলেও গুরুত্বের দিক থেকে বাংলাদেশের লাইফ লাইন চট্টগ্রাম। এ জেলার মানুষকে নিরাপদ রাখা, মাদক-সন্ত্রাস নির্মূল ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। চোরাচালান রোধে টাস্কফোর্সের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।’
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন- শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফখরুজ্জামান আরো বলেন, ‘অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, বালি উত্তোলন ও অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায় রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। শস্যের ভিতর ভূত না থাকলে কোন সমস্যা হবে না। কোন ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই ডিসি-এসপি জানলে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারব। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম শফিউল্লাহ বলেন, ‘জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। গরু চুরি রোধসহ অন্যান্য থানায় চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই রোধ, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার আইন-শৃংখলা সভা ছাড়াও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আরো চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও নিরোধ প্রচারণা কমিটির সভা, জেলা চোরাচালান নিরোধ সমন্বয় কমিটি ও চোরাচালান মামলা মনিটরিং সেলের সভা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি এবং নারী-শিশু পাচার কমিটির সভা ও জেলা বাল্য বিবাহ নিরোধ কমিটির সভা।
আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি ও অন্যান্য সভায় মাল্টিমিডয়ার মাধ্যমে গত নভেম্বর মাসের মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র, সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) সুমনী আক্তার।
সভায় বক্তব্য দেন জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (পটিয়া), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), এসএম রাশেদুল আলম (হাটহাজারী), আবদুল মোতালেব (সাতকানিয়া), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), ভাইস চেয়ারম্যান এসএম সেলিম (বোয়ালখালী), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা (সন্ধীপ), শাহাদাত হোসেন (সীতাকুন্ড), শেখ জোবায়ের আহমেদ (আনোয়ারা), সাব্বির রহমান সানি (ফটিকছড়ি), মো. শাহিদুল আলম (হাটহাজারী), মোহাম্মদ মামুন (বোয়ালখালী), আতাউল গণি ওসমানী (রাঙ্গুনিয়া), সাইদুজ্জামান চৌধুরী (বাঁশখালী), মো. মামুনুর রশিদ (কর্ণফুলী), মোহাম্মদ আতিকুল মামুন (পটিয়া), ফাতেমা-তুজ জোহরা (সাতকানিয়া), শরীফ উল্ল্যাহ (লোহাগাড়া), মাহফুজা জেরীন (মিরসরাই), মহানগর পিপি এডভোকেট আবদুল রশীদ, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম নায়হানুল বারী, আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির, মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ফরিদুল আলম, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম (সীতাকুন্ড), মো. আইয়ুব বাবুল (পটিয়া), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৌমেন মন্ডল।
সভাগুলোতে সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।