চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটির আগ্রাবাদে অনুনোমোদিতভাবে পুকুর ভরাটের মাধ্যমে আবাসিক ভবন নির্মাণের দায়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর। অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মনির হোসেন রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডবলমুরিং থানায় এ মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন আগ্রাবাদ ডবলমুরিং থানার আবিদের পাড়ার শাহআলম কন্টাক্টরের বাড়ীর আমির আহাম্মদ (৬৫), আহাম্মদ হোছন (৬৩), মোহাম্মেদ হোসেন (৬০), আবদুল হাকিম (৫৭), নুরজাহান বেগম (৫০), ছুফিয়া খাতুন (৪৮) ও বিবি জুলেখা (৪০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মো. মনির হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, থানায় মামরা রুজু হয়েছে। মামলা নম্বর তিন।
জানা যায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. মনির হোসেন ও অফিস সহকারী মো. শহিদুল্লাহ গত ১৪ জানুয়ারি দুপুরে ঘটনাস্থলে যান। পরিদর্শনে দেখা যায়, ওই স্থানে একটি আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ঘটনাস্থলে একটি তিন তলা আবাসিক ভবনের অনুমোদন দিয়েছে। জমির খতিয়ান অনুযায়ী, ওই স্থানটি পুকুর শ্রেণিভুক্ত। অর্থাৎ, পুকুর ভরাট করে ভবনটির নির্মাণ চলছে। পুকুর ভরাটের জন্য সরকারের কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি। সাক্ষী ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনাস্থলে এক সময় পুকুর ছিল। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুকুরের কোন অস্থিত নেই। পুকুরটি সম্পূর্ণরূপে ভরাট করে বহুতল ভবনটির নির্মাণ কাজ চলছে। সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে ঘটনাস্থলে পুকুর ভরাটকরে বহুতল ভবন নির্মানের সাথে ওই সাতজনের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
পরিদর্শন শেষে গত ১৬ জানুয়ারি শুনানীর নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর। আমির হোসেন ও আব্দুল হাকিমের উপস্থিতিতে শুনানী করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগেরর পরিচালক সাত জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দেন।
বলে রাখা ভাল, মামলাটি চট্টগ্রামের পরিবেশ আদালত/স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য। আইন অনুসারে, মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস তদন্ত করে আদালতে দাখিল করবেন।