রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প উৎস হতে পারে মিশর

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ‘বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে। পাশাপাশি, মিশরের বাজারে ক্যান্সারের ওষুধের বেশ চাহিদা রয়েছে, যার সুযোগ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা নিতে পারেন।’

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের সাথে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি এসব কথা বলেন।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশন আয়োজনের পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের উপর জোরারোপ করেন আশরাফ আহমেদ।

ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি বলেন, ‘দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনো আশানুরূপ পর্যায়ে পৌঁছায়নি, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৮০ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মিশর হতে পেট্রোকেমিক্যাল ও সার আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘মিশরীয় তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এরমধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেছে ও ভবিষ্যতে নানা খাতে তার দেশের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প খাতে ক্রমাগত উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে ও মিশরের বাজারে ক্যান্সারের ওষুধের বেশ চাহিদা রয়েছে, যার সুযোগ বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা নিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সুয়েজ খাল ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অধিকাংশ পণ্য ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে। তবে, মিশরকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট হাব’ হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে আফ্রিকার বাজারে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণের সুযোগ নিতে পারে। এছাড়াও, বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে।’

অন্য দিকে, রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের হিমায়িত খাদ্য, চিংড়ি ও সুস্বাদু আম ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে, যা মিশরেও রপ্তানি করা যেতে পারে।’

বাংলাদেশ হতে তথ্য-প্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ প্রভৃতি পণ্য বেশি হারে আমদানির জন্য মিশরের উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

সেই সাথে বিশেষ করে, বাংলাদেশের নদীভিত্তিক পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মিশরের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর জোরারোপ করেন আশরাফ আহমেদ।

ডিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী ও মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং বাংলাদেশস্থ মিশর দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সোহেলা মাহরিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।