শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

পেনসিলভেনিয়ার মিলবোর্নে ‘বাংলাদেশ এভিনিউ’র নামফলক উন্মোচন

বুধবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

মিলবোর্ন, পেনসিলভেনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালিদের এগিয়ে চলার পথে আরেকটি অধ্যায় যুক্ত হল ফিলাডেলফিয়া সিটি সংলগ্ন মিলবোর্নে একটি রাস্তার নাম ‘বাংলাদেশ এভিনিউ’ করার মাধ্যমে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাঙালি প্রবাসীরাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার বিশিষ্টজনদের সাথে নিয়ে এ নামফলক উম্মোচন করেন মিলবোর্নের মেয়র মাহবুবুল আলম তৈয়ব।

বলে রাখা ভাল, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের মিলবোর্ন সিটির পাঁচজন কাউন্সিলম্যানের সবাই বাংলাদেশি এবং ট্যাক্স কালেক্টর, ডেপুটি ট্যাক্স কালেক্টরও বাংলাদেশি অর্থাৎ মেয়রসহ পুরো প্রশাসনেই বাংলাদেশিরা নির্বাচিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আর কোন সিটিতে এমন আধিপত্য এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হননি প্রবাসীরা।

মিলবোর্নের এই সড়কটির নাম ছিল সেলার এভিনিউ। এখন তা পরিণত হল ‘বাংলাদেশ এভিনিউ’তে।

কণ্ঠশিল্পী জলি দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। মাহবুবুল আলম তৈয়ব সিটির সব কাউন্সিলম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বহুজাতিক এ সমাজে বিজয়ের মাসে ‘বাংলাদেশ এভিনিউ’ উদ্বোধনের পথ সুগম করার জন্যে। তিনি সামনের দিনগুলোতেও এলাকাবাসীর সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন।

অনুষ্ঠানে পেনসিলভেনিয়া স্টেট গভর্নরের প্রতিনিধি হিসেবে স্টেটের পলিসি অ্যান্ড প্ল্যানিং সেক্রেটারি আকবর হোসেন (বাংলাদেশী আমেরিকান) মাহবুবুল তৈয়বকে গভর্নরের বিশেষ সম্মাননা স্মারক হস্তান্তরকাল করেন।

আকবর বলেন, ‘একটি রাস্তার নামকরণের মাধ্যমে মূলত বহুজাতিক এ সমাজে আমরা আরো বড়কিছু করতে পারব যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। এই সড়কের নামকরণের মাধ্যমে সেই অভিযাত্রা শুরু হল।’

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন স্টেট সিনেটর টিম কিয়ার্নি, আপার ডারবি সিটির মেয়র (নির্বাচিত) এডোয়ার্ড ব্রাউনন, স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ জিনা কিউরি, সিটির কাউন্সিলম্যান (ইলেক্ট) মো. সালাহউদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদকে উদ্বোধনী মঞ্চে আহবান করে বিশেভাবে সম্মান জানানো হয়।

নামফলক উম্মোচনের আমেজে দেশের গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান স্টেটে আরো অন্তত ছয়টি সড়কের নামকরণ হয়েছে বাংলাদেশের নামে। এভাবেই প্রবাসীরা প্রিয় মাতৃভূমির প্রতি দায়বদ্ধতা মোচনের পথ ধরে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রেও সুপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য এক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।