বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পোচেত্তিনো যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ফুটবল দলের নয়া কোচ

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
মরিসিও পোচেত্তিনো

মিয়ামি, ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ফুটবল দলের নয়া কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আর্জেন্টাইন মরিসিও পোচেত্তিনো। ইউএস সকার ফেডারেশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

টটেনহ্যাম হটস্পার, চেলসি, পিএসজি ও এস্পানেয়লের প্রাক্তন এ কোচ গ্রেগ বেরহল্টারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। কোপা আমেরিকায় হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর জুলাইয়ে বেরহল্টারকে ছাঁটাই করা হয়।

২০১৬ সালে জার্মান ইয়র্গেন ক্লিন্সম্যানের পর প্রথম কোন বিদেশী কোচ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দলে যোগ দিলেন পোচেত্তিনো। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগ পাওয়া কোচদের মধ্যে পোচেত্তিনোই সবচেয়ে বড় নাম।

৫২ বছর বয়সী পোচেত্তিনো মাত্র এক মৌসুম পর মে মাসে চেলসি ছাড়ার পর এখনো পর্যন্ত চাকরিবিহীন ছিলেন। ইউএস সকারের পক্ষ থেকে চুক্তির বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে যৌথভাবে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে পোচেত্তিনোর অধীনে খেলতে নামবে স্বাগতিকরা।

ইউএস সকারের স্পোর্টিং পরিচালক ম্যাট ক্রোকার বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের উন্নতিতে পোচেত্তিনো মরিসিও সব সময়ই নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তার অধীনে অতীতের সব দলই একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক দল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছে। তার কাজের রেকর্ডই সব বলে দেয়। আমি নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিভাবান দলটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পোচেত্তিনোই সঠিক ব্যক্তি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।’

নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতে সাউদাম্পটন, টটেনহ্যাম ও স্প্যানিশ ক্লাব এস্পানেয়লে পোচেত্তিনোর অধীনে বহু তরুণ খেলোয়াড় নিজেদের পরিণত করার সুযোগ পেয়েছেন। টটেনহ্যামে পোচেত্তিনো ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেনকে ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করার ব্যাপারে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৯ সালে তার অধীনে স্পার্সরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছিল। একইসঙ্গে নিয়মিত ভিত্তিতে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করার অভ্যাসও গড়ে তুলেছিল।

পিএসজিতে তার অধীনে তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেরা খেলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র দলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তিনি এবার কাজে লাগাতে চান।

পোচেত্তিনো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল দলে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আমার ফুটবলের জন্য নয়, এটা এমন এক যাত্রা হতে যাচ্ছে যাতে করে আমি নিজেকেও সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাবো। এখানকার ফুটবলের মধ্যে যে ধরনের আকাঙ্খা, ক্ষুধা আছে তা সত্যিই ঐতিহাসিক। এ ব্যাপারগুলো আমাকে অনুপ্রাণীত করেছে। খেলোয়াড়দের মতই অনুপ্রাণীত সমর্থকদের সামনে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়া একটি ভিন্ন ব্যাপার। এ দলটির মধ্যে প্রতিভা ও সম্ভাবনা রয়েছে। সকলে মিলে আমরা একটি বিশেষ দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারব, যাদের নিয়ে গর্ব করা যায়।’

২০২২ সালে কাতারে সর্বশেষ বিশ্বকাপে শেষ ষোলতে নেদারল্যান্ডসের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ দলটিকে। সেই দলটিকে আগামী বিশ্বকাপের জন্য হাতে পাচ্ছেন পোচেত্তিনো। জুলাইয়ে কোপা আমেরিকায় ঘরের মাঠেও ব্যর্থ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ বিশ্বকাপের পূর্বে স্বাগতিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশেষ কিছু উপহার দিতে চান পোচেত্তিনো। যাতে করে নিজেদের প্রমাণে কোন ধরনের অস্বস্তি দলে না থাকে। কোপা আমেরিকায় পানামা ও উরুগুয়ের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মাত্র একটি জয় নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে। এ সময় কোচ বেরহল্টারকে সমর্থক ও বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিছু দিনের মধ্যে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তার স্থানে নয়া কাউকে নিয়োগের বিষয়েও তাড়াহুড়া করেনি ইউএস সকার।

ইউএস সকারের প্রধান নির্বাহী জে টি বাটসন বলেছেন, ‘সঠিক সময়ে সঠিক কোচ হিসেবে পোচেত্তিনোকে নিয়োগ দিতে পেরে সংশ্লিষ্ট সবাই খুব খুশী।’