শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

প্রকৃতির জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থায়ন দ্বিগুণ হবে

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন: জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য ও ভূমির অবক্ষয় রোধকল্পে বিশ্বকে অবশ্যই প্রকৃতি জন্য অর্থায়ন দ্বিগুণ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে মন্ট্রিলে একটি নতুন বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য চুক্তির লক্ষ্যে সাক্ষাতের জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক ওই সময় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। 

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) প্রকাশিত দ্বিতীয় ‘স্টেট অফ ফাইন্যান্স ফর নেচার’ রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘বিনিয়োগ অবশ্যই ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৩৮৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। যা প্রতি বছর ১৫৪ বিলিয়ন ডলারের বর্তমান হিসেবের দ্বিগুণেরও বেশি।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমাবদ্ধ রাখা, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি বন্ধ করা, ভূমি অবক্ষয় নিরপেক্ষতা অর্জন এবং আরো অনেক কিছুর মত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের জন্য বছরে ৪৮৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন প্রয়োজন হবে।

ইউএনইএএফর এর নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসেন বলেছেন ‘যেহেতু আমরা ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নির্গমনে রূপান্তরিত হবো, সেই সাথে আমাদের অবশ্যই সব মানবিক ক্রিয়াকলাপকে পুনর্বিন্যাস করতে হবে, যাতে আমরা সকলেই নির্ভরশীল প্রাকৃতিক বিশ্বের উপর চাপ কমাতে পারি।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘সরকারগুলো বর্তমানে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের জন্য ৮৩ শতাংশ অর্থায়ন সরবরাহ করে। তবে সংঘাত, ঋণ ও দারিদ্র্যের সাথে যুক্ত আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকবে ও তাই বেসরকারি খাতকে অবশ্যই বছরে বর্তমান ২৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে হবে।’

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘ ময়াদী গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য টেকসই কৃষি এবং পিটল্যান্ড পুনরুদ্ধারের জন্য তহবিল প্রয়োজন। কারণ কয়লা পর্যায়ক্রমে ও শক্তি সেক্টরকে ডিকার্বনাইজ করা নিজেই যথেষ্ট হবে না।