/ 
প্রিন্ট করুন
চট্টগ্রাম: সুরধ্যানের আয়োজনে মনোজ্ঞ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সন্ধ্যা সিটির একে খান ফুলকি মিলনায়তনে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংগীতগুরু ও উপমহাদেশের সুপ্রাচীনতম আর্য্য সংগীত সমিতির অধ্যক্ষ উস্তাদ মিহির লালা। প্রধান অতিথি ছিলেন উপমহাদেশের খ্যাতিমান বংশীবাদক আজিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শেখ সাদী।
প্রথম পরিবেশনায় ভুপালী রাগে সমবেত খেয়াল পরিবেশন করেন সুরধ্যানের শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় পর্বে শাস্ত্রীয় সংগীত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন উস্তাদ মিহির লালা, আজিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ শেখ সাদী ও শ্রীমতী জয়ন্তী লালা।
আলোচকরা বলেন, ‘সুর হল গভীর ধ্যানের বিষয়। সুরের ধ্যানে গভীরভাবে নিমগ্ন না হলে সংগীত সাধনায় সফল হওয়া যায় না। সেই অর্থে সুরধ্যান নামকরণটা যথার্থ। সংগীতের মাধ্যমে স্রষ্টাকে পাওয়া যায় বলেই অন্যান্য যে কোন লঘু সংগীত করার শুরুতেই শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা আবশ্যক।’
আলোচনা পর্ব শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিবেশনায় একক খেয়াল গেয়ে শোনান সুরধ্যানের ছাত্রী শিল্পী অংকিতা নন্দী। শিল্পী প্রথমে রাগ মারু বিহাগ একতাল বিলম্বিত লয়ে ‘কাল নাহি আয়ে’ ও মধ্যলয়ে ‘মোরে বালমা আজহুঁ না আয়ে’ পরিবেশন করেন। এরপর একক পরিবেশনায় সুরধ্যানের শিক্ষার্থী চয়ন চক্রবর্তী বিলম্বিত একতালে ‘ক্যাসে পাউঁ শান গুরুচরণ আয়ে বিনা’ ও ত্রিতাল মধ্যলয়ে ‘শাম বাজায়ে আজ মুরলীয়া’ এ বন্দীশটি পরিবেশন করেন। পরবর্তী পরিবেশনায় অংশ নেন বংশীধ্বনি, চট্টগ্রাম। বংশীশিল্পী রণধীর দাশের পরিচালনায় বাঁশীতে এ বৃন্দবাদনের পরিবেশনা ছিল আর্য্যসংগীত সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আচার্য সুরেন্দ্র লাল দাশ রচিত রাগ পিলু বাঁরোয়া ও ঝিঁঝিট। সর্বশেষ পরিবেশনায় সুরধ্যানের শিক্ষার্থী শিল্পী অভিষেক নন্দী বাগেশ্রী রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন। প্রথমে বিলম্বিত একতালে ‘মোহে মানব আয়ে’ ও ত্রিতাল মধ্যলয়ে ‘কৌন করত তোরে বিনতি পিয়ারবা’ গেয়ে শোনান তিনি। তবলায় অমিত চৌধুরী দীপ্ত, তানপুরায় শ্রাবন্তী দত্ত ও অন্বেষা দাশ শিল্পীকে সহযোগিতা করেন।
সুরধ্যানের পক্ষ থেকে এ আয়োজনে উপস্থিত থাকার জন্য অতিথি ও দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সুরধ্যানের প্রশিক্ষক ও পরিচালক উচ্চাংগ সংগীত শিল্পী রিটন কুমার ধর।
