/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: ‘যুক্তরাষ্ট্র তৈরি পোশাক শিল্প ও এর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ আরো গভীর করতে আগ্রহী।’ বলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ তুলা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রমাণভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতির সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা দেখিয়েছে; যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মুখোমুখি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে।’
পিটার হাস আরো বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল ও প্রত্যাশিত পরিচালনার পরিবেশের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন ও তাদের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা যখন তৈরি পোশাক খাতের দিকে তাকাই, বাংলাদেশে আমাদের মিশনের অন্যতম অগ্রাধিকার হল- উন্নত শ্রমমানের মাধ্যমে উপলব্ধ টেকসই ও বিস্তৃতভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাপারটি আমাকে শ্রম অধিকারের দিকে মনোনিবেশ করায়।’
পিটার হাস স্মরণ করিয়ে দেন যে, গেল ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ‘অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এম্পাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শীর্ষক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নতুন স্মারকলিপি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘এই নতুন বৈশ্বিক শ্রম কৌশলটি সমস্ত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলোকে সরকার, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রচার ও সুরক্ষার জন্য সম্পৃক্ততা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে।’
হাস আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দুর্দান্ত অংশীদার ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলার দুর্দান্ত গ্রাহক হওয়ার জন্য আমি ফের আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি, আজকের ইভেন্টটি আপনার জন্য উপকারি হবে ও আপনাদের ব্যবসায় যুক্তরাষ্ট্রের তুলা অন্তর্ভুক্ত করার সুবিধাগুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে আরো বেশি শেখাবে।’
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তৈরি পোশাক শিল্প ও শ্রমিকদের জন্য কী করছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করেন।
