মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের নয়া অধ্যায় সৃষ্টির আগ্রহ প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সাথে কাজ করে তাদের সম্পর্কের নয়া অধ্যায় সৃষ্টির আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দিক থেকেই সদিচ্ছা আছে। একসাথে আমরা আমাদের সম্পর্কের নয়া অধ্যায় তৈরি করতে চাই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের নয়া অধ্যায় চায়, এটি একটি বড় ব্যাপার।’

সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরাও তাদের সাথে সম্পর্কের নয়া অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।

এইলিন লুবাখার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার ও ভবিষ্যতে একসাথে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করে আমরা আনন্দিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।’

বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস পৃথক বার্তায় বলেছে, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি।’

এতে বলা হয়, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’

র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ অনুসরণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে। আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি রাশেদ চৌধুরী প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের কাছে ব্যাপারটি উত্থাপন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অধীনে রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের সাথে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে সফর করছেন।’

তারা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও অবাধ গণমাধ্যম তৈরির কাজে নিয়োজিতদের সাথেও বৈঠক করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো গভীর ও সম্প্রসারিত হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি দিয়েছেন, তা দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ।’

জাতীয় নির্বাচনের পর ৮ জানুয়ারি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ‘অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’