শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বাংলাদেশ-নোয়াখালী সোসাইটির নেতাদেরকে ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন পিন্টুর সংবর্ধনা

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১০, ২০২২

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইউএসএ এবং বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ এর নতুন নির্বাচিত নেতাদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ওজন পার্ক এলাকায় অ্যাংকর ট্রাভেলস ও মানি ট্রান্সফারের প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন পিন্টুর উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আরজু হাজারির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মর্টগেজ ওয়ার্ল্ড ব্যাংকাসের প্রেসিডেন্ট সাইকেল লাগোডিস। প্রধান বক্তা ছিলেন মর্টগেজ ব্যাংকাসের লোন অফিসার সেলস ডিরেক্টর আবু সাঈদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির নতুন নির্বাচিত সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ জসীম, ট্রাফিক এজেন্ট ইউনিয়নের নেতা সাঈদ রহিম, চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী, স্যাম্যান গ্লোবাল মানি ট্রান্সফারের প্রেসিডেন্ট মাসুদ রানা তপন, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আবু নাসের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজু মিয়া, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাইনুল উদ্দীন মাহবুব, কার্যকরী সদস্য সাদী মিন্টু, শাহ মিজান, আবুল বাসার ভূইয়া, মোহাম্মদ নাসিম, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন।

বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী রেজাউল করিম চৌধুরী, রিয়েলেটর সরওয়ার খান বাবু, মোহাম্মদ কবির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মাইন উদ্দিন পিন্টু কীভাবে আমেরিকায় এসেছেন, কীভাবে ওজন পার্কে ব্যবসায় শুরু করেছেন, সাধারণ মানুষ কীভাবে সহযোগিতা করেছে, তা তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে তার শ্বশুরের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন তিনি। একই সাথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মাইন উদ্দিন পিন্টু বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ সোসাইটি ও বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির নতুন নির্বাচিত নেতাদেরকে সম্মাননা জানানো। সেই লক্ষ্যেই এ আয়োজন।’
 
অনুষ্ঠানে মাইকেল লাগৌডিস বলেন, ‘আপনাদের মত আমাদের পরিবারও এখানে ইমিগ্র্যান্ট। তাই আমি ইমিগ্র্যান্টদের অবস্থা বুঝি। আমি প্রায় ৩৫ বছর ধরে ব্যাংকে কাজ করছি। গত ৫ বছর ধরে বাংলাদেশি কমিউনিটির সাথে কাজ করছি। ইতিমধ্যেই আমরা বাংলাদেশি কমিউনিটির আস্থা অর্জন করেছি। যে কারণে যারা আমাদের থেকে একটি বাড়ি কিনেছেন, এখন তারা দুইটা বাড়ি কিনছেন। আমরা সে ক্ষেত্রে পুরোপুরি সহযোগিতা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ব্যাংক চেক ওয়ালস ফার্গো ও সিটি ব্যাংকসহ বড় বড় ব্যাংকের মত ক্রিটিক্যাল নয়৷ আমরা সহজেই ঋণ দিয়ে থাকি। আমরা মোট ১৩টি ব্যাংকের সাথে কাজ করছি, যার মধ্যে ছয়টি হচ্ছে মর্টগেজ ব্যাংক। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা যারা আজকের অনুষ্ঠানে এসেছেন, তারা সব সময়ই কমিউনিটির পাশে রয়েছেন। আপনারা মানব সেবা করে যাচ্ছেন। আমাদের ব্যাংক প্রায় ২৮ বছর ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ সেবা হচ্ছে মানুষের স্বপ্ন পূরণের। যারা আমেরিকায় থাকেন, কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করেন, তাদের প্রত্যাশা থাকে একটি বাড়ির। তাদের সেই প্রত্যাশা আমরা পূরণ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারেস্ট রেট সাতের ওপরে। কিন্তু আমাদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে আমরা এখন পাঁচ থেকে শতাংশ ইন্টারেস্টে ঋণ দিচ্ছি। আমাদের ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম রয়েছে। সে সব প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনারা আমাদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। বর্তমানে কমিউনিটির মধ্যে লাইসেন্স ছাড়াও অনেক ব্রোকার রয়েছে, যদিও তাদের শেষ পর্যন্ত ব্যাংকে যেতে হয়। তারা কাজ করে মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে আপনার অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা আমাদের মাধ্যমে সরাসরি ঋণ নিতে পারেন। আমরা হচ্ছি ডাইরেক্ট ল্যান্ডার।’

আব্দুর রব চৌধুরী এসব বিষয়ে ওয়ার্কশপ করার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘কমিউনিটির অনেকেই সঠিক নেতৃত্ব পাচ্ছেন না। যে কারণে তারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন ও কেউ কেউ অর্থ হারাচ্ছেন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তা ও বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির নেতাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।