নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘আমব্রেলা’ খ্যাত সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ‘রুহুল-জাহিদ’ ও ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল। রুহুল-জাহিদ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাহিদ মিন্টু। নির্বাচনে নিজের ও পূর্ণ প্যানেলে জয়ের বিষয়ে শত ভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাহিদ।
জহিদ মিন্টু ১৯৯৫ সালে তার পিতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। যুক্তরাষ্ট্রেই শিক্ষা জীবন শেষ করে নির্মাণ ব্যবসায় গড়েন নিজের ক্যারিয়ার। শুরু করেন সমাজকর্মও। বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেন তিনি। দীর্ঘ দিন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটিতে নেতৃত্ব দেয়ার পর বৃহত্তর নোয়াখালীসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুপ্রেরণায় এবার অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে।
জাহিদ মিন্টু জানান, জনগণ আমাকে ভালবেসে, আমার প্রতি আস্থা রেখে আমাকে প্রার্থী করেছেন। আমি আশা করি, নির্বাচনের দিন তারা আমাকে বিপুল ভোটে জয়ীও করবে। নির্বাচিত হলে আমি প্রবাসী বাংলাদেশীদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে সর্বোচ্চ জোর দিব।
নির্বাচনের ফলাফল যদি বৈরীও হয়, তবুও সোসাইটির জন্য কাজ করে যাবেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হল একটি প্রতিযোগিতা। আর প্রতিযোগিতায় এক পক্ষ হারবে, এক পক্ষ জিতবে- এটাই স্বাভাবিক বিষয়। এ নির্বাচনে আমরা জিতব। এ বিষয়ে আমি শত ভাগ আশাবাদি। তবুও, কোন করণে যদি আমি হেরেও যাই, যারা জিতবে তারা যদি সমাজকর্ম করার জন্য আমাদের সহযোগিতা চায়, আমরা ইনশাআল্লাহ আমাদের অবস্থান থেকে সহযোগিতা করব। আমরা জিতলেও উনাদের সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতের কাজগুলো করব।’
বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটিতে দীর্ঘ দিন নেতৃত্ব দিলেও বাংলাদেশ সোসাইটিতে নতুন মুখ জাহিদ মিন্টু। একজন নতুন মুখকে জনগণ কেন প্রাধান্য দেবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সোসাইটিতে আমি নতুন হলেও সমাজকর্মে নতুন না। অতীতে আমি জনকল্যাণে বহু অবদান রেখেছি। বর্তমানেও কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ সোসাইটিতে নতুন হলেও জনগণ আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
জাহিত মিন্টু বলেন, ‘বাংলাদেশ সোসাইটি পুরো বাংলাদেশীদের সংগঠন। আমি এখানে আঞ্চলিকতায় বিশ্বাস করে সাধারণ সম্পাদক হতে আসিনি। আমি বাংলাদেশ সোসাইটিতে এসেছি সব বাংলাদেশীর সেবা দেয়ার জন্য। শুধু আমি নই, রুহুল-জাহিদ পরিষদের প্রত্যেকটা সদস্য দীর্ঘ দিন ধরে কমিউনিটির মানুষদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নির্বাচিত হলে সুষমভাবে দায়িত্ব বণ্টন করে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’
কমিউনিটির মানুষদের সেবা প্রদানের সুযোগ দিতে রুহুল-জাহিদ প্যানেলকে ভোট দিতে বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্যদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৩৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও, ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় ১৯ হাজার। যার মধ্যে আজীবন সদস্য ৮৫৩ জন।