রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বাইডেনের ‘কড়া বার্তা’ নিয়ে ইসরায়েল যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই কর্তা

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
জ্যাক সুলিভান ও লয়েড অস্টিন

ওয়াশিংটনি, যুক্তরাষ্ট্র: এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কড়া বার্তা নিয়ে ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন। খবর আল জাজিরার।

সম্প্রতি ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘নির্বিচারে বোমা হামলার কারণে আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে ইসরায়েল।’

একই সাথে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান না মানার কথা উল্লেখ করেন জো বাইডেন। এরপরই ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন বাইডেন প্রশাসনের এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।

জ্যাক সুলিভান তার দুই দিনের সফরে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে বৈঠক করবেন। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন ছাড়বেন জ্যাক।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, ‘জ্যাক সুলিভান তার দুই দিনের সফরে নেতানিয়াহু এবং যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হারজোগের সাথে ইসরায়েল ও গাজার সর্বশেষ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।’

এছাড়া, লয়েড অস্টিনেরও আগামী সপ্তাহে ইসরায়েল সফর করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা দফতর।

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তার এই সফর এমন সময়ে হচ্ছে, যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর গোপন মনোভাব প্রকাশ্যে এনে কঠোর সমালোচনা করেছেন জো বাইডেন।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নির্বাচনী তহবিল জোগানের প্রচারণায় নেতানিয়াহু ও তার সরকারের কঠোর সমালোচনা করে জো বাইডেন বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্ষণশীল সরকার- যারা দুই-রাষ্ট্রীয় সমাধান চায় না। নেতানিয়াহুকে তার কট্টরপন্থি সরকারের পরিবর্তন করা উচিত।’

এছাড়াও, ইসরায়েলকে নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক করে বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নিরাপত্তায় নির্ভর করতে পারে। তবে, এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি কিছু রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আছে, ইউরোপ আছে। পৃথিবীর অধিকাংশ অংশীদারও আছে। কিন্তু, ইসরায়েল নির্বিচারে বোমা হামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে।’

বাইডেনের এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ্যে সহযোগিতা করা হলেও আড়ালে ইসরায়েলের সাথে দেশটির মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসে। একই সাথে ফিলিস্তিন প্রশ্নে নেতানিয়াহুর অনৈতিক মনোভাবও বেরিয়ে আসে।

অন্য দিকে, নেতানিয়াহুও সেই দিন মতবিরোধের কথা স্বীকার করে তা সমাধানের আশা ব্যক্ত করেন।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধ পরবর্তী হামাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মতবিরোধ রয়েছে ও আমি আশা করি, আমরা এখানেও চুক্তিতে পৌঁছাব।’

নেতানিয়াহু যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠনের জন্য গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন তার এই বক্তব্যে আস্থা রাখছে না। তাদের আশঙ্কা নেতানিয়াহু গাজা দখল করতে চায়। এ নিয়েই দুই পক্ষের মতবিরোধ সামনে এল। এরই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তার ইসরায়েল সফরের সংবাদ এল।