ঢাকা: চা মানেই এক রাশ প্রশান্তি; চায়ে চুমুক মানে ক্লান্তির বিদায়। যদিও কারো পছন্দ গ্রিন টি, কারো ওলং টি, কারো ফের তুলসি চা। নানা ধরনের চায়ে এবার নতুন সংযোজন ‘পাট পাতার চা’। সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতে এটি উৎপাদন করছেন টাঙ্গাইলের এক উদ্যোক্তা। সেই সাথে আধুনিক টি ব্যাগ পদ্ধতিতে করছেন বাজারজাত।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কোম্পানি মহিমা প্রোডাক্টস আট বছর ধরে কাজ করছে এ পানীয় নিয়ে। কারখানায় প্রস্তুত করে বিক্রি করছে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে।
মহিমা প্রোডাক্টসের উদ্যোক্তা জাকির হোসেন তপুর দাবি, পাট পাতা নিয়ে কেউ তেমন কাজ করে না। এটি একটি ওষধি গুণসম্পন্ন ভেষজ। দেশীয় পাট পাতা থেকে শতভাগ অর্গানিক প্রক্রিয়ায় এ চা প্রস্তুত করা হয়। আমি টি ব্যাগ প্যাকের মাধ্যমে এটি বাজারজাত করি। এর সাফল্য নিয়ে আশাবাদী তিনি।
ভোক্তারা বলছেন, ‘পুষ্টিগুণ থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে এ চা কিনছেন তারা। একজন ক্রেতা জানান, আমি এ চা পান করে উপকৃত হয়েছি। এটি পানে বিভিন্ন ফ্লু নিরাময় হয়। তাছাড়া পান করতেও ভাল লাগে।
চা কারখানায় কাজ করে পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান এখানকার কর্মচারীরা। একজন বলেন, ‘পড়ালেখার সাথে এখানে কাজ করে সংসারের খরচ চালাচ্ছি।’
বহুমুখী পাট শিল্পের কর্মকর্তা টাঙ্গাইল জেইএসসির সেন্টার ইনচার্জ মোহাম্মদ মেহের হুসাইন বলেন, ‘পাট পাতার চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এটি ব্যবহারে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সরকার পাট পাতার চায়ের প্রচার ও প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া শুরু করেছে।’
পাট পাতার চা অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এছাড়া রক্তের কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে এটি।