শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে ঢাকা-নমপেন এফটিএ চুক্তিতে সম্মত

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে উভয় দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সম্মত হওয়ায় এটি সই হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে সম্মত হন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। নিউইয়র্কে তার বাসস্থানের কক্ষে ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠক রুমে’ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার সাথে এফটিএ এর চুক্তির বিষয়ে তার আগ্রহ ব্যক্ত করলে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এ প্রস্তাবে সম্মত হন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।’

এ সময় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার দেশ থেকে বাংলাদেশে চাল রপ্তানীর বিষয়ে একটি চুক্তি সইয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

তিনি কম্বোডিয়ায় কৃষি ও স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান।

হুন সেন প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন যে, আসিয়ানের সভাপতি দেশ হিসেবে কম্বোডিয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

এছাড়া শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর সুপারিশমালা প্রনয়ণের মাধ্যমে অভিবাসী পাঠানো দেশগুলোকে সহায়তা করতে পারে। এসব দেশ মহামারি করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নানা সমস্যা মোকাবেলা করছে।

প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে তার বাসস্থানের কক্ষে ‘দি¦পক্ষীয় বৈঠক কক্ষে’ আইওএমের মহা পরিচালক অ্যান্টোনিও ভিটোরিনোর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক চলাকালে এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী লিবিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া বাংলাদেশি ভূক্তভুগিদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করার জন্য আইওএম-কে ধন্যবাদ জানান।

আইওএমের মহা পরিচালক অভিবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও আইওএমের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে।

পরে, প্রধানমন্ত্রী কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিজোসা ওসমানি-সাদ্রিউর সাথে আরেকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল একই স্থানে শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সেখানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।