বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বায়ু থেকে কার্বন প্রত্যাহার প্রযুক্তিতে ১.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র

শনিবার, আগস্ট ১২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের সরকার শুক্রবার (১১ আগস্ট) বলেছে, ‘তারা বাতাস থেকে কার্বন সরিয়ে নেয়ার দুটি অগ্রসর প্রযুক্তি সুবিধার জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন পর্যন্ত ব্যয় করবে।’ বিশেষজ্ঞরা সমালোচনা করে বলেছেন, ‘বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এটি এখনো অগ্রসর প্রযুক্তির একটি ঐতিহাসিক জুয়া।’ খবর এএফপির।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও লুইসিয়ানায় প্রকল্প দুটির প্রতিটির লক্ষ্য প্রতি বছর এক মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্মূল করা, যা মোট চার লাখ ৪৫ হাজার গ্যাস চালিত গাড়ির বার্ষিক নির্গমনের সমতুল্য।
জ্বালানি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি ‘ইতিহাসে ইঞ্জিনিয়ারড কার্বন অপসারণে বিশ্বের বৃহত্তম বিনিয়োগ।’

জ্বালানি সচিব জেনিফার গ্রানহোম বিৃৃতিতে বলেছেন, ‘একাকী আমাদের কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবগুলোকে ফিরিয়ে আনবে না।’ ‘আমাদেরও কার্বনডাইঅক্সাইড অপসারণ করতে হবে; যা আমরা ইতিমধ্যে বায়ুমন্ডলে রেখেছি।’

ডাইরেক্ট এয়ার ক্যাপচার (ডিএসি) কৌশল – যা কার্বন ডাই অক্সাইড রিমুভাল (সিডিআর) নামেও পরিচিত, বাতাসে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ও চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় এটি সহায়ক হবে।

প্রতিটি প্রকল্প বায়ু থেকে ২৫০ গুণ বেশি কার্বন ক্যাপচার করবে। সাইটের চেয়ে ২৫০ গুণ বেশি কার্বন ক্যাপচার সাইট থেকে সরিয়ে ফেলবে।

এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী মাত্র ২৭টি কার্বন ক্যাপচার সাইট চালু করা হয়েছে, যদিও কমপক্ষে ১৩০টি প্রকল্প উন্নয়নাধীন রয়েছে।

কিছু বিশেষজ্ঞ উদ্বিগ্ন যে, এই প্রযুক্তির ব্যবহার দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের পরিবর্তে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অজুহাত হবে।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক জ্যাকবসন বলেন, ‘সরাসরি ক্যাপচারের জন্য ‘বাতাস থেকে কার্বনডাই অক্সাইড বের করার জন্য ও পাইপের কম্প্রেস করতে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।’

এর মানে এই ধরনের প্রযুক্তি একটি ‘গিমিক’ ছাড়া আর কিছুই নয়, তিনি যোগ করেন, ‘এটি কেবল জলবায়ু সমস্যার সমাধান বিলম্বিত করবে।’