ঢাকা: বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমেদকে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গেল শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সালাহউদ্দিনের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন জানান, আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হানিফ ফ্লাইওভারে সালাহউদ্দিনসহ ছয়জনকে ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় শনিবারের (২৯ জুলাই) অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ আদালত আগাম জামিন দিয়েছেন।’
যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘তারা যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে সালাউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গেল শনিবার (২৯ জুলাই) বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পুলিশের ওপর হামলা চালায় ও তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।’
হারুন বলেন, ‘এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় চারটি মামলা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে সালাহউদ্দিন এক নম্বর আসামি, অন্য দুটি মামলারও আসামি। এসব মামলায় ডিবি (ওয়ারী বিভাগ) তাকে গ্রেফতার করেছে ও আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এ দিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘সরকারের চলমান দমন-পীড়ন ও গ্রেফতারের সর্বশেষ শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদসহ বিএনপির ছয় নেতাকর্মী।’
তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ডিবি পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে তুলে নিয়েছে। অবৈধ সরকার তাদের অপকর্ম ঢাকতে চায় গ্রেফতার ও হামলা দিয়ে।’
গ্রেফাতরকৃতরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা এম শাহিন, শাহআলম মুন্সি, আবির হোসেন, নিয়ামুল হক, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের সদস্য নয়ন ও সালাহউদ্দিনের গাড়িচালক এম কাজল।
রিজভী বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৪০৬ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সরকার।’