সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বিজিএমইএ হাসপাতাল চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন উদ্বোধন

সোমবার, মার্চ ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বিজিএমইএ হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারী ও স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে শ্রমিক অধ্যুষিত চট্টগ্রাম বন্দর, সিইপিজেড ও কাটগড় হালিশহর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে সল্টগোলা এলাকায় অবস্থিত বিজিএমইএ হাসপাতালে রোববার (৫ মার্চ) বিকালে এক্স-রে মেশিনটির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ হাসপাতালের পরিচালক ইনচার্জ মিরাজ-ই-মোস্তফা কায়সারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এএম শফিউল করিম (খোকন), এম এহসানুল হক, বিজিএমইএ হাসপাতাল বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী চৌধুরী ও প্রাক্তন পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশসহ বিভিন্ন পোশাক শিল্পের মালিক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ফারুক হাসান বলেন, ‘পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিজিএমইএর সিএসআর কার্যক্রমের আতওায় বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়নগঞ্জে বিজিএমইএ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে এ শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীসহ স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের সন্তানদের বিনামূল্যে বিজিএমইএ স্কুল হতে পাঠদান ও শিক্ষা উপকরণ দেয়া, শ্রমিকদের উন্নত বসবাসের জন্য ডরমিটরী স্থাপনসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচীর মাধ্যমে একটি উন্নত সমাজ গঠনে বিজিএমইএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

তিনি বিজিএমইএ হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘চট্টগ্রামের শ্রমিক কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের উন্নত স্বাস্থ্য সেবায় বিজিএমইএ হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ হাসপাতালকে অন্যান্য রোগ নিরূপনকারী অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।’

সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিএমইএর সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বিজিএমইএ হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার করোনা ভাইরাসকালীন শ্রমিক কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়েছে।’

চট্টগ্রামে শ্রমিক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উন্নত সেবা দিতে বিজিএমইএ হাসপাতালের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।