শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বিশেষ কাউন্সিলের প্রতিবেদনের পর প্রেসিডেন্ট পদে ‘অযোগ্য’ বাইডেন

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
জো বাইডেন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জো বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র স্পিকার মাইক জনসন এ ঘোষণা দেন। শ্রেণিবদ্ধ নথিপত্রগুলোর ভুল ব্যবস্থাপনার তদন্তে বাইডেনের মানসিক সক্ষমতার ঘাটতির চিত্র ফুটে ওঠার পর তাকে এ পদে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এ ব্যাপারে মাইক জনসন বলেন, ‘শ্রেণিবদ্ধ তথ্যের ভুল ব্যবস্থাপনার জন্য দায়বদ্ধ হতে একেবারে অক্ষম একজন ব্যক্তি অবশ্যই ওভাল অফিসের জন্য ‘অযোগ্য’। খবর এএফপির।

রবার্ট হুরের স্পেশাল কাউন্সিলের প্রতিবেদনে শ্রেণিবদ্ধ নথিপত্র জমা দেয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ‘দরিদ্র স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি হিসাবে’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি এ কাউন্সিলের তদন্তে উঠে এসেছে, বাইডেনের ছেলে ঠিক কবে মারা গেছে সেটিই তিনি মনে করতে পারেন না।

তবে, এ কাউন্সিলের প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে বাইডেন বলেন, ‘এমন কি প্রমাণ আছে, যে আমার ছেলের মৃত্যু কবে হয়েছিল, তা আমার মনে নেই? তার এ কথা বলার সাহস কীভাবে হয়?’

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বড় ছেলে বিউ ২০১৫ সালে মস্তিষ্কের ক্যানসারে মারা গিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য বাইডেনের ফিটনেস বা শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার স্মৃতিশক্তি ঠিক আছে ও আমি জানি, আমি কী করছি।’

বাইডেনের বয়স নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররাও উদ্বিগ্ন। সামনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে বাইডেনের বয়স হবে ৮২ বছর ও মেয়াদ শেষে তার বয়স হবে ৮৬ বছর। তবে, বাইডেনের ‘স্মৃতিশক্তির কিছুটা ঘাটতি রয়েছে’ এমন প্রমাণ তার কর্মকাণ্ডে বার বার উঠে এসেছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাইডেন একটি তহবিল সংগ্রহকারীকে বলেছিলেন, ‘তিনি ২০২১ সালের জুনে ব্রিটেনে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিটাররান্ডের সাথে কথা বলেছেন।’ অথচ ফ্রান্সে ২০১৭ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় আছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফ্রাঁসোয়া মিটাররান্ড বহু পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন।