লন্ডন, যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল টনি রাডাকিন সতর্ক করে বলেছেন, ‘বিশ্ব বর্তমানে তৃতীয় পারমাণবিক যুগের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।’ সংবাদ সিএনএনের।
লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটে দেয়া বক্তৃতায় রাডাকিন এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বদলে গেছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর অবস্থান বদলাচ্ছে। তৃতীয় পারমাণবিক যুগ এখন আমাদের ওপরে এসে পড়েছে।’
তার কথায়, আগের যুগের চেয়ে এখনকার এই যুগ সামগ্রিকভাবে বেশি জটিল। স্নায়ুযুদ্ধের সময়টি ছিল পারমাণবিক যুগের প্রথম অধ্যায়। দ্বিতীয় যুগে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে আন্তর্জাতিক চেষ্টা চলেছে।’
‘আর এখন বিশ্ব তৃতীয় পারমাণবিক যুগের সূচনালগ্নে রয়েছে। যেখানে বহুমুখী হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’
টনি রাডাকিন আরো বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও এর পশ্চিমা মিত্ররা চীন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার বেপরোয়া হুমকি পাচ্ছে। পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি ও মহড়া এখন ফের বেশি বেড়ে গেছে।’
‘রাশিয়ার কাছ থেকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার, বড় ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র মহড়া চালানো এবং নেটো দেশগুলোর বিরুদ্ধে হামলার হুমকি আসছে।’
‘চীনের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি ও খেয়ালী আচরণ কেবল আঞ্চলিক নয়, বিশ্বের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
‘আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা না করে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নও উদ্বেগের বিষয় হয়ে আছে।’
এতসব হুমকির মধ্যে এ বছর ইউক্রেইন যুদ্ধে লড়তে রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন এবং ইরানের সরবরাহ করা ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার হামলা চালানো সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছিল বলে মন্তব্য করেন রাডাকিন।
তবে, এরপরও রাশিয়ার সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র হামলা চালানো বা নেটো দেশগুলোকে আক্রমণ করার সম্ভাবনা অনেক কম বলেই বিশ্বাস করেন রাডাকিন।
কারণ, তিনি বলেন, ‘রাশিয়া জানে এমন হামলার পরিণতি দুর্বার হবে। তা সেই পাল্টা জবাব প্রচলিত বা পারমাণবিক- যে অস্ত্র দিয়েই দেয়া হোক না কেন।’