সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বৃহস্পতিবার বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন বাইডেন-ট্রাম্প

মঙ্গলবার, জুন ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

আটলান্টা, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত নয়টায় জর্জিয়ার আটলান্টায় প্রথম বার মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তথা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ ইন্ডিয়া টুডের।

আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বে এটিই হবে প্রথম বিতর্ক। সিএনএনে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই ৯০ মিনিটের বিতর্ক সভায় কোন শ্রোতা উপস্থিত থাকবেন না। যুযুধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর বক্তৃতায় ক্ষেত্রেও ‘কড়া সময়সীমা’ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। উভয় প্রার্থী, বাইডেন ( ৮১) ও ট্রাম্প ( ৭৮) জাতীয় জনমত জরিপে ঘাড়ে-ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। বহু ভোটার এখনো নির্বাচনের পাঁচ মাস পূর্বে অনিশ্চিত, তারা কাকে ভোট দেবেন।

লিবার্টারিয়ান পার্টির নেতা তথা চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্দলীয় প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এ বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন না। আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্যাট্রিক স্টুয়ার্টের মতে, এ বিতর্ক উভয় প্রার্থীকে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য দেবে বলে মনে হয় না। বরং, তাদের বহু চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে।

বিতর্কটি উভয় প্রার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হবে। কারণ, দুইজনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বেশ প্রবীণ প্রার্থী। প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটি দুই প্রার্থীর জ্ঞানীয় দক্ষতার একটি অবিশ্বাস্য পরীক্ষা। তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন কিনা তা দেখার এটাই আমাদের সুযোগ।’

বাইডেন বর্তমানে ক্যাম্প ডেভিডে রয়েছেন, তার সহযোগী তথা সাবেক চিফ অফ স্টাফ রন ক্লেইনের নেতৃত্বে বিতর্কের প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করছেন। ক্লেইন মার্চ মাসে তার স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন বক্তৃতার প্রস্তুতিতে বাইডেনকে সহায়তা করেছিলেন। বাইডেনের দলের লক্ষ্য গর্ভপাত ও গণতন্ত্রের মত ইস্যুতে ট্রাম্পের চরমপন্থী নীতিগুলো তুলে ধরা, ট্রাম্পের বিভাজনমূলক নীতির তুলনায় বাইডেনকে একজন স্থিতিশীল ও জ্ঞানী নেতা হিসাবে চিত্রিত করা।

ট্রাম্প এরমধ্যে চিরাচরিত প্রস্তুতির বদলে বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘জাতীয় নিরাপত্তায় অবহেলা’, ‘কূটনৈতিক ব্যর্থতা’ ও ‘যুক্তরাষ্ট্রের আদি বাসিন্দাদের স্বার্থরক্ষায় অনীহা’-এর মত বিষয়গুলো বেছে নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিতর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে, যা ভোটারদের দেশের জন্য দুই নেতৃস্থানীয় প্রার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি দেবে।