যুক্তরাষ্ট্র: ভারতীয় দুইটি মসলা প্রস্তুতকারক কোম্পানির তৈরি পণ্যগুলোতে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান বিষ বা কীটনাশক থাকার যে অভিযোগ উঠেছে; তা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ প্রশাসন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। খবর বিবিসির।
উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড থাকার অভিযোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হংকং ভারতীয় এমডিএইচ কোম্পানির তৈরি তিনটি ও এভারেস্ট কোম্পানির তৈরি একটি মশলা মিশ্রণ বিক্রি স্থগিত করে।
এ দিকে, সিঙ্গাপুর মাছের তরকারির জন্য এভারেস্টের একটি মসলার মিশ্রণ প্রত্যাহার করেছে। দেশটি বলেছে যে, ‘উচ্চমাত্রার ইথিলিন অক্সাইড ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে।’
ভারতের এ দুই কোম্পানি দেশের বাজার ছাড়াও বিদেশেও বেশ জনপ্রিয়। এভারেস্ট এর আগে বলেছে যে, ‘তাদের পণ্যগুলো ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।’ তবে এমডিএইচ কোন মন্তব্য করেনি।।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এফডিএর মুখপাত্র বলেন, ‘মসলা বিষয়ক প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে ওয়াকিবহাল আছে এফডিএ এবং এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
ভারতের মশলা রফতানি নিয়ন্ত্রক স্পাইস বোর্ড বলেছে, ‘তারা হংকং ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের কাছে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মসলার নমুনা চেয়েছে।’ তারা এ কোম্পানি দুইটির পণ্যের গুণগত মান সংক্রান্ত সমস্যার মূল করণ খুঁজে বের করতে সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করছে।
এ দিকে, ভারত থেকে রফতানি হয় বা কোন না কোনভাবে উৎপাদনে দেশটির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে- এমন ৫২৭টি খাদপণ্যে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলেছে।
এসব খাদ্যপণ্য এরই মধ্যে ইউরোপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরিয়ে নেয়া হয়েছে বাজার থেকেও।
ইথিলিন অক্সাইড নামে একটি বর্ণহীন গ্যাস কীটনাশক ও জীবাণুমুক্ত করার রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। রাসায়নিকটি চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, খাদ্যদ্রব্যে এ রাসায়নিক কোনভাবে মিশে শরীরে ঢুকলে লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।