সান্তা বারবারা, ক্যালিফোর্নিয়া: ইউটিউবে ভিউ বৃদ্ধির জন্য একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ইউটিউবার। তার এমন কর্মকাণ্ডের জন্য ২০ বছরের জেল হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর এনডিটিভির।
ভিউয়ের লোভে নিজের ছোট বিমান পরিকল্পিতভাবে ক্র্যাশ করিয়েছিলেন ট্রেভর জ্যাকব নামে এক ইউটিউবার। পরে উড়ন্ত বিমান থেকে প্যারাসুট নিয়ে লাফ দেন তিনি। সেটির ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে দেন। ভিডিওটি ইউটিউবে ৩০ লাখ বার দেখা হয়েছে। তবে বিমান ক্র্যাশের মত বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেয়নি মার্কিন প্রশাসন। এ কারণে তদন্তের মুখে পড়েন তিনি। আর তাতে বাধা দেয়ার অপরাধে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন জ্যাকব। এ ঘটনায় সান্তা বারবারা কাউন্টি বিচারবিভাগ তাকে অপরাধী ঘোষণা করেছে।
ট্রেভর জ্যাকব ফেডারেল তদন্তে বাধা দেয়া ও ধ্বংসাবশেষ লুকিয়ে রাখার জন্য দোষ স্বীকার করতে সম্মত হয়েছেন। এ অপরাধে ফেডারেল কারাগারে তার সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা হতে পারে।
ইউএস ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ২৯ বছর বয়সী প্রাইভেট পাইলটের সার্টিফিকেট বাতিল করেছে।
২০২১ এর ২৪ নভেম্বর জ্যাকব তার বিমান নিয়ে লোম্পক সিটি বিমানবন্দর থেকে একা-একাই উড়াতে শুরু করেন। ম্যামথ লেক যাবেন বলে বের হয়েছিলেন। কিন্তু, সেটি করেননি। বরং, উড়ানোর সময়ে তার বিমান থেকে লাফ দিয়ে বের হয়ে যান। এরপর প্যারাসুটে করে নেমে আসেন। এ দিকে, তার বিমান নিচে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
উড়ানোর আগে জ্যাকব বিমানের বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। নিজেও একটি প্যারাসুট, ভিডিও ক্যামেরা এবং সেলফি স্টিক নিয়েছিলেন। প্লেনটি উড়ানোর প্রায় ৩৫ মিনিট পরে সান্তা মারিয়ার কাছে লস প্যাড্রেস জাতীয় উদ্যানের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে এ আজব কাণ্ড করেন।
ভিডিও এডিট করে পরে ইউটিউবে আপলোড করেছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তবে, প্রায় সবাই বুঝেছিলেন যে, এটি পরিকল্পিত। নয় তো এত ক্যামেরা নিয়ে কেন তৈরি থাকবেন!