শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ভেঙে ফেলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের অস্থায়ী দেয়াল

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

অ্যারিজোনা, যুক্তরাষ্ট্র: মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসী ঠেকানোর লক্ষ্যে তৈরি একটি অস্থায়ী দেয়াল সরিয়ে ফেলতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের সরকার। এ দেয়ালের কার্যকারিতা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয়া হল। খবর বিবিসির।

রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর, যার নির্দেশে দেয়ালটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে, এ দেয়াল অভিবাসী ঢলকে আমেরিকায় ঢুকতে বাধা দেবে। তবে যারা এ দেয়ালের বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধ করেছেন, তারা এ যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নয় শতাধিক শিপিং কনটেইনার দিয়ে তৈরি এ দেয়াল নির্মাণ করতে সরকারের অন্তত আট কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।

কনটেইনারের দেয়ালটির নির্মাণ শুরু হয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে। অ্যারিজোনার সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মেক্সিকোর ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সাল থেকে এ সীমান্তের এক বিশাল অংশে বেড়া তৈরি করা হয়েছে।

গভর্নর ডাগ ডুসি এ বছরের শুরুতে করোনাডো ন্যাশনাল ফরেস্টে অস্থায়ী ব্যারিয়ার নির্মাণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু মার্কিন সরকার গত সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দাবি করেছে যে, সাত কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীরটি কেন্দ্র সরকারের অধীন ভূমিতে ঢুকে পড়েছে। তবে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ফেডারেল সরকারের সাথে এক চুক্তির পর ডুসির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বলেছে, ‘আগে নির্মাণ করা সব শিপিং কনটেইনার ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, উপকরণ, যানবাহন ও অন্যান্য জিনিস জানুয়ারির প্রথম দিকে সরিয়ে ফেলা হবে।’

ওই এলাকায় কাজ করে এমনি একটি পরিবেশ-রক্ষাকারী গোষ্ঠী সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি ওই দেয়ালের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছিল। সংস্থাটি দাবি করেছে, কনটেইনারের প্রাচীরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত বনকে বিভক্ত করেছে, যা হুমকির মুখে থাকা প্রাণীদের আবাসস্থল ও পানীয় জলের উৎস ও অভিবাসন রুটগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ ও সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনীতির মূল বিষয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় কয়েক হাজার লোককে আটক করা হয়েছে। আর সীমান্ত সমস্যাগুলো মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে।