শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

মধ্যবর্তী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ট্রাম্পের

বুধবার, নভেম্বর ৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন
ডোনাল ট্রাম্প

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ফের কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা। তবে, ট্রাম্পের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। খবর সিএনএনের।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের নির্বাচনের পরপরই ভোট জালিয়াতির বিষয়ে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ভোটারই ভুয়া ছিল বলেও সে সময় অভিযোগ করেন তিনি। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে প্রচারণার শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করে আসছিলেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরুর কয়েক ঘন্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের জনবহুল কাউন্টি ম্যারিকোপায় ২০ শতাংশ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন কাজ করছে না বলে খবর পাওয়া যায়। যদিও খুব কম সময়ের মধ্যে সেগুলো ঠিক করা হয় বলে জানায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার রিপাবলিকান প্রার্থীরা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে বলে শঙ্কার কথা জানান ডেমোক্র্যাটরা। তাদের আশঙ্কা সত্যি করে রিপাবলিকান প্রার্থী ক্যারি লেক বিষয়টিকে ইস্যু বানিয়ে নিজের টুইটার একাউন্টে ‘ভোটার অ্যালার্ট’ জারি করেন। ভোটারদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে, সেই তথ্য সত্য নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। ভোট কেন্দ্রের অনলাইন ট্র্যাকার চেক করে দেখা যায়, ভোটাররা বড় জোড় পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করেছেন। অনেক ভোটারকে তাও করতে হয় নি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প দাবি করেন, মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে অনেক ভোটার ভোট দিতে পারছেন না, এমনকি তাদের ভোট নাকি আগেই নেয়া হয়েছে। সেখানকার ব্যালটের অবস্থাও খুব নাজুক বলে অভিযোগ করা হয়। এরই জেরে সমর্থকদের রাস্তায় নামার আহবান জানান তিনি। তবে, কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা।

এছাড়া উইসকনসিনে এক নির্বাচন কর্মকর্তা অবৈধভাবে ব্যালট পূরণ করছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ও তথ্য ছড়িয়েছে রিপাবলিকানরা। সেই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন দায়িত্বরত নির্বাচন কর্মকর্তারা।