শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মহেশখালীতে ‘মোখা’র তাণ্ডবের মধ্যে কাজে গিয়ে তিন লবণ চাষী নিহত

সোমবার, মে ১৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

মহেশখালী, কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তান্ডবের মধ্যেও লবণের মাঠে কাজ করতে গিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালি উপজেলায় তিন লবণ চাষীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদুয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মো. নেছার (৩২) ও বারঘর পাড়ার মতনের ছেলে মো. আনছার (৩৬)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্নিঝড় মোখার সময় রোববার (১৪ মে) বারঘর পাড়ার পশ্চিমের লবণের মাঠে কাজ করতে গিয়ে ঠান্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছে। এছাড়া, রাতে লবণ মাঠের পানিতে ভাসমান অস্থায় দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে লোকজন। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।’

এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, রোববার সকালে মাঠে পলিথিন ও লবণ উঠানোর জন্য আনুমানিক ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। বাতাস আর বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার কারণে ঠাণ্ডায় ৬-৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে বিকাল সাড়ে চারটায় রিদুওয়ানকে (৩৫) কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

অনেক শ্রমিক রাত হলেও বাড়িতে না ফেরায় তাদেরকে খুঁজতে স্বজনরা লবণ মাঠে গিয়ে রাত সাড়ে দশটায় ভাসমান অবস্থায় মুহাম্মদ নেছারকে এবং লবণ মাঠের অপর প্রান্ত থেকে রাত ১২টার দিকে মোহাম্মদ আনসার নামের আরেক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ সময় সোনা মিয়া নামের আরেক চাষীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মহেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চাকমা বলেন, ‘মানুষের মুখে তিন জনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমরা কোন তথ্য পাইনি। তারপরও আমি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এছাড়া ,নিখোঁজের বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু এখনো জানায়নি।’

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, তিন জনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি।

এ দিকে, এলাকাবাসী জানায়, হোয়ানকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আরো ১০-১৫ জন লবণ চাষী এখনো ঘরে ফেরেনি।