নুরুন নবী: ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, কালিকা ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিবেশনায়, এমকেজি প্রোডাসন্স প্রাইভেট লিমিটেডের নিবেদন, সুনীল বসু মল্লিকের প্রযোজনায়, ডাক্তার নীহার রঞ্জন গুপ্তের কাহিনী অবলম্বনে, চিত্ত বিসুর পরিচালনায় ‘মায়ামৃগ’ সিনেমাটি দেখলাম। মায়ামৃগে চিত্রনাট্যে ছিলন মনি বর্ম্মন, সম্পাদনায় রবীন দাস, শিল্পনির্দ্দেশনায় কার্ত্তিক বসু। অভিনয়ে উত্তম কুমার, বিশ্বজিৎ, ছবি বিশ্বাস, বিকাশ রায়, তরুণ কুমার, জহর রায়, শ্যাম লাহা তুলসী চক্রঃ, সন্ধ্যারাণী, সুনন্দা দেী, সন্ধ্যা রায়, নিভাননী, আশা দেবী, রেবা দেবী, নন্দিতা ভট্টাচার্য্য, ইরা চক্রবর্তী, আরতি দাস প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় চরিত্র উত্তমকুমার হলেও সিনেমা জুড়ে বিশ্বজিৎ, সন্ধ্যারাণী ও বিকাশ রায়ই ছিল সর্বেসবা। তিনজনই ভাল অভিনয় করেছেন। উত্তমও কম যান না! যতক্ষণ পর্দায় ছিলেন স্বভাবসূলভ অভিনয় করে গেছেন।
‘মায়ামৃগ’ সিনেমায় গীতিকার শ্যামল গুপ্ত, সঙ্গীত-আবহসঙ্গীত ও পুনঃশব্দযোজনায় সত্যেন চট্টোপাধ্যায় ও নেপথ্যকণ্ঠ দিয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। নেপথ্যকন্ঠ দান ছাড়াও মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালনা করেন।
মায়ামৃগ থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: সময়ে সম্পর্কে টানাপোড়ন তৈরি হলেও বিধাতার অদৃশ্য সুঁতোয় প্রত্যেকটি সম্পর্ক বাধা পড়ে! রক্তের সম্পর্কই যে বড় সম্পর্ক তা বলা যায় না! জন্ম দিলেই যে মা-বাবা হওয়া যায়, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই! প্রতিটি সম্পর্কই মানবিক জায়গা থেকে গড়ে ওঠে! যে যত বেশি মানব সম্পর্কে বিশ্বাসী, সে তত বেশি সম্পর্কে আপন হয়ে উঠেন।
লেখক: তরুণ শিল্প সমালোচক, সংস্কৃতি কর্মী, ঢাকা