শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

মির্জা ফখরুল প্রমাণ করেছেন তারা পাকিস্তানের এজেন্ট

শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, `বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রমাণ করেছেন, তারা পাকিস্তানের এজেন্ট। গত পরশু দিন তিনি বক্তব্য রেখেছেন পাকিস্তানই ভাল ছিল। এতে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি ও তার দল হচ্ছেন পাকিস্তানের এজেন্ট। আজকে দেশের কৃষকরা ভাল আছে, দেশের মানুষ ভাল আছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আবার অনেকের মন খারাপ। পুরো পৃথিবী আজকে বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। এমনকি পাকিস্তানও প্রশংসা করছে। কিন্তু এতে অনেকের মন খারাপ। আর সেই মন খারাপের দলের নেতা হচ্ছে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব।’

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব রানার সঞ্চালনায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন উত্তরজেলা কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘যেই পাকিস্তান আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, যেই পকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমাদের প্রশাংসা করেছেন বারংবার। আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাংসা করে বলছেন, বাংলাদেশ আমাদের পেছনে ফেলে বহুদুর এগিয়ে গেছে। পাকিস্তানের টেলিভিশনে আলোচনায় শেখ হাসিনার প্রশংসার ঝড় উঠে।’

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা আসলে হৃদয়ে পাকিস্তানকেই ধারন করে, আর তারা হচ্ছে বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্ট। দেশকে পাকিস্তানের এজেন্টদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এরা যদি আবার সুযোগ পায় তাহলে দেশটাকে আবার পাকিস্তান বানিয়ে ফেলার চেষ্ঠা করবে। সুতরাং এদের হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশে পাকিস্তানী এজেন্টদের কোন জায়গা নেই।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে, কৃষিতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষিতে প্রতি অর্থ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় আমাদের সরকার। অথচ বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ সরকারকে কৃষিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা কৃষকের কথা চিন্তা করে হাজার হাজার কোটি টাকা কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে চলেছে।’

তিনি বলেন, ‘সেই কারণেই ছোট্ট দেশ হওয়ার পরও আমরা আজকে খাদ্য শস্য উৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ণ। গত অর্থ বছরে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি কৃষি পণ্য আমরা রপ্তানি করেছি। আমাদের লক্ষ্য গার্মেন্টস ও অন্যান্য পণ্যের সাথে কৃষি পণ্যও রপ্তানি হবে।’

তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে আসার পর ১৯৮৩ সালে বৃক্ষ রোপণ শুরু করেছিলেন। কৃষক লীগের মাধ্যমে দেশে বৃক্ষ রোপণকে আন্দোলনে রূপান্তর করেছেন তিনি।’

সম্মেলনে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আরমান চৌধুরী, জাতীয় পরিষদ সদস্য মোতাহের হোসেন বাবুল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বর্তমান সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদার ও সম্পাদক আয়ুব রানাকে পুনরায় তিন বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়।