ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ছয় মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে এডভোকেট খুরশীদ আলম খান এ আবেদন করেছেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। আদালতের অনুমতি ছাড়া মুহাম্মদ ইউনূস যেন বিদেশ যেতে না পারেন, সে আবেদনও করা হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দন্ডিত মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে গেল ২৮ জানুয়ারি জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। সেদিন শ্রম আদালতের দেয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এর পূর্বে, শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গেল ১ জানুয়ারি ছয় মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার সইয়ের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪ (৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩ (৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪ (৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩ (৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দশ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তবে, আপিল করার শর্তে মুহাম্মদ ইউনূসসহ আসামিদের রায়ের পরপরই এক মাসের জামিন দেয়া হয়।