শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

মোদিকে গণতন্ত্র ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে প্রশ্ন করায় মার্কিন সাংবাদিককে হয়রানি

মঙ্গলবার, জুন ২৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশ্ন করার জন্য মার্কিন নারী সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকীকে আক্রণের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, `সামাজিক মাধ্যমে সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকীকে যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় ও এই আচরণ গণতান্ত্রিক নীতিবিরোধী। গেল ২২ জুন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন নরেন্দ্র মোদি। ওই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠক করেন মোদি। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সেই সংবাদ সম্মেলনে মোদিকে ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাবরিনা।

সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকী মোদিকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ভারত দীর্ঘ দিন ধরে নিজেদের বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে গর্ববোধ করে। কিন্তু, অনেক মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে যারা বলে, ভারত সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য করেছে এবং এ নিয়ে সমালোচনা হলে তাদের চুপ করিয়ে দেয়া হয়েছে।’

‘আপনি এখন হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে অনেক বিশ্বনেতা গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাহলে, আপনি ও আপনার সরকার ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকারের উন্নতি ও বাক স্বাধীনতা বজায় রাখতে পদক্ষেপ নেবেন?’

এ প্রশ্নের উত্তরে মোদি বলেন, ‘গণতন্ত্র ভারতের হৃদয় ও আত্মা। গণতন্ত্র ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএতে রয়েছে। ভারতের সংখ্যালঘুদের বৈষম্যে প্রশ্ন ওঠা দেখে আশ্চর্য হচ্ছি।’

সাবরিনা সিদ্দিকী একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক। তার এ প্রশ্নের কারণে তাকে টু্ইটারে আক্রমণ করে ভারতীয়রা। পাকিস্তানের সাথে সিদ্দিকীর সংযোগ ও মুসলিম বংশের কথা জানার পর তাকে নিয়ে ট্রোল করা শুরু হয়। এছাড়া, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে আচরণের বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার জন্য তাকে ‘টুলকিট গ্যাং’ এর সদস্য বলে আখ্যা দেন ভারতীয়রা।

সোমবার (২৬ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি তোলা হলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘(সাবরিনা সিদ্দিকীর) হয়রানির রিপোর্ট সম্পর্কে আমরা অবগত। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যে কোন দেশে যে কোন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের হেনস্তার তীব্র নিন্দা আমরা করি।’