/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: মোনাশ কলেজ গ্র্যাজুয়েশন কনভোকেশন ২০২৩ আয়োজন করেছে বাংলাদেশে মোনাশ কলেজ অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র অংশীদার ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল ঢাকার উৎসব ব্যাংকোয়েট হলে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে মোনাশ কলেজের বিভিন্ন প্রোগ্রাম যেমন মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার, মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমা অব বিজনেস, ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক হন ৭৬ শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাই কমিশনার কেট স্যাংস্টার। উপস্থিত ছিলেন এসটিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান বব কুন্দানমাল, ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের পরিচালক ও বোর্ড মেম্বার জারিফ মুনির এবং ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের ডিন অব একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স প্রফেসর মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। অনুষ্ঠানে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থী, উচ্চপদস্থ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্বনামধন্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
একাডেমিক ডিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরে, একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়, যেখানে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের যাত্রা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট ডেজিগনেট প্রফেসর হিউ গিল ও জারিফ মুনির।
মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে চলেছে ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইউসিবি। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৪ অনুযায়ী, বৈশ্বিকভাবে মোনাশ ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৪২। দেশে মোনাশ কলেজ থেকে বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সরাসরি মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে দেশে উচ্চ শিক্ষা সহজলভ্য করতে কাজ করে চলেছে ইউসিবি।
বব কুন্দানমাল বলেন, ‘এখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিশ্বজয় করতে প্রস্তুত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তাদের দেখতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মোনাশ ইউনিভার্সিটির উচ্চ মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে পারার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত আনন্দের। আমরা ইউসিবির মাধ্যমে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে প্রত্যাশী।’
কেট স্যাংস্টার বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে, মানুষের সাথে মানুষের সংযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মানুষের সাথে মানুষের সংযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, আর মোনাশ ইউনিভার্সিটি ও মোনাশ কলেজ এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, এ ধরনের সমাবর্তনগুলো এখন বাংলাদেশেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও দক্ষতার উন্নয়নও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের মত বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করছি।’
জারিফ মুনির বলেন, ‘সফলভাবে একাডেমিক যাত্রার একটি অধ্যায় শেষ করার জন্য আমি সব শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাই। দেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্নাতক হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসের সাথে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। তাদের সাফল্যের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত।’
