ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: রাত পোহালেই নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিবাচনকে ঘিরে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়েছে পুরো পৃথিবীর মানুষ। নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারন হবে দোদৃল্যমান সাতটি রাজ্যের ভোটারদের ওপর। বিশেষ করে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিন রাজ্যের ভোটররা যে দলকে ভোট দেয়, সে দলই জয়ী হয়। দীর্ঘ ধরে এসব রাজ্যের ভোটাররা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়ে আসছে। ডেমোক্র্যাটরা গেল আটটি নির্বাচনে সাতটিতে জয়লাভ করেছে। শুধু একবারই রিপাবলিকানরা জয় পেয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, এই তিন রণক্ষেত্র বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলো এক সময়ে শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রস্থল ছিল। এসব রাজ্যের ভোটাররা যে দলকে ভোট দিবে সেই দলকেই ভোট দেয়। নিউইয়র্ক টাইমস, সিয়েনা কলেজ ও এএফপির সর্বশেষ জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এবারের নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম সন্ধিক্ষণ হিসেবে অভিহিত করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক এবং বিশ্ব ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে দেশটির এত দিন ধরে চলা দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানের জন্য কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বর) নির্বাচনকে ঘিরে। যেখানে প্রেসিডেন্ট পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নেমেছেন দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাট দলীয় বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবারের নির্বাচন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন সাম্প্রতিক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে সংকটময় মুহুর্ত কাটাচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও ভূ-রাজনীতি। এক দিকে ইউরোপের ইউক্রেন-রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইতিহাসের নজিরবিহীন নির্মম ও রক্তাক্ত আগ্রাসন চালাচ্ছেন ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
তার আগ্রাসনকে ঘিরে ইতোমধ্যে উত্তপ্ত পুরো মধ্যপ্রাচ্য। যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ইরান-ইসরাইল। অপর দিকে তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তপ্ত দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব এশিয়া। এর পাশাপাশি অস্থিতিশীলতা ও গৃহ যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত সুদান, মালি, সোমালিয়া, কঙ্গো, বুরকিনা ফাসোসহ আফ্রিকার বহু দেশ। শুধু ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে এসব ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঘটনা প্রবাহের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে এবারের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
রাজনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের চিন্তাভাবনাই করছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিস জয়লাভ করলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতিসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসের বর্তমানে অনুসৃত নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির খুব একটা পরিবর্তন না-ও হতে পারে। তিনি যার রানিংমেট ছিলেন সেই জো বাইডেনের শারীরিক অসুস্থতার কারণে আচানক তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাচ্ছেন। বাইডেনের নীতির ধারাবাহিকতাই অক্ষুণ রাখবেন কমলা হ্যারিস। তবে, পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হতে পারে। যদি তার বদলে এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘স্বাধীন চেতা ট্রাম্পের এবারের প্রেসিডেন্সিতে আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বিগত কয়েক দশকের দৃষ্টিভঙ্গিতে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এতদিন ধরে গুরুত্ব পাওয়া ‘বৈশ্বিক নীতি’র বদলে তিনি গ্রহণ করতে পারেন ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতি।’
এ দিকে, এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প এই ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতির পক্ষে খোলামেলা নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। অর্থাৎ, তার পররাষ্ট্র, অর্থনীতি ও যুদ্ধনীতি পরিচালিত হবে, ‘আগে আমেরিকা, পরে অবশিষ্ট বিশ্ব’ নীতিতে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘ট্রাম্পের এই নীতির অর্থ হচ্ছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ নেই কিংবা তার স্বার্থ বিঘ্নিত হবে, এ রকম ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে মিত্রদের স্বার্থকেও গুরুত্ব দিবেন না ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের এই অবস্থানেই মূলত শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো। বিশেষ করে ক্রমেই আগ্রাসীরূপ ধারণ করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে।
ন্যাটো ও ইউরোপীয় নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ইউরোপীয় ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিকরা নানাভাবেই নিজেদের উদ্বেগ তুলে ধরে আসছেন। তাদের আশঙ্কা হয়তো রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে এমন কোন বোঝা পড়ায় আসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মাশুল দিতে হবে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের। পাশাপাশি ব্যবসায় ও রাজনীতির মাঠে স্বাধীন চেতা স্বভাবের হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রেও ওয়াশিংটনের আমলাদের দেখানো পথে না গিয়ে নিজের ইচ্ছে মত সিদ্ধান্ত নিবেন।
এই ধরনের আশঙ্কা ও রয়েছে। ট্রাম্পের এই ’অনিশ্চিত’ স্বভাবের বিষয়টিই মূলত বহু বেশি আতঙ্কিত করছে ইউরোপের কূটনীতিকদের। ট্রাম্পের আমলে ইউরোপের কাছে যুক্তরাষ্ট্র ’ঘনিষ্ঠ মিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার বদলে ‘অনিশ্চিত মিত্র’ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। এই আশঙ্কাও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গেল মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। তখন হোয়াইট হাউস তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিলেও ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার যুদ্ধ পরিকল্পনার ব্যাপারে ঘরোয়া আলোচনায় নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি, তিনি যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে নিউইয়র্কের বিখ্যাত ট্রাম্প টাওয়ারে সাক্ষাৎ করেন। তখন তার সাথে স্বভাব সুলভ কৌতুক করছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প এ সময় জেলেনস্কির উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে। একই সাথে আপনি জানেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথেও আমার খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আমি যদি জয়ী হই, আমরা খুব দ্রুত এর সমাধানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারব।’ স্বভাবতই ট্রাম্পের এমন বক্তব্য পছন্দ হয়নি তার।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ‘আমি নিশ্চিত নই, ট্রাম্প কি পুতিনের সাথে কোন সমঝোতায় যাবেন, নাকি তিনি মস্কোর ওপর একটা পরমাণু বোমা ফেলার সিদ্ধান্ত নিবেন। মূল সত্যটা হল একটা ব্ল্যাক বক্স এবং যদি কেউ বলে যে তার প্রশাসনের ভেতরে কি হচ্ছে, সেটা শুধু তিনি জানেন।’
ট্রাম্প নির্বাচিত হলে ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কি হবে তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প নিজেই ইসরাইলের কট্টর সমর্থক। সে হিসেবে ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসনকে তিনি শেষ পর্যন্ত সমর্থন দিবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে, নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত শীতল সম্পর্ক এতে প্রভাব ফেলবে না। এ কথাও উড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে ইসরাইলের সাংবাদিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইয়োসি মেলমান দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর প্রসঙ্গে কথা উঠলে, ট্রাম্পের রেকর্ড অনুযায়ী তাকে খুব কট্টর ইসরাইলের সমর্থক হিসেবে দেখা যাবে না। আমি এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেব না যে, যখন ট্রাম্প নির্বাচিত হবেন, তখন তিনি ‘গোল্লায় যাও’ এঁটাও বলতে পারেন।’
নির্বাচিত হলে ট্রাম্পের মনোযোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বদলে চীনের দিকে যেতে পারে। নির্বাচনী প্রচারণাতেও বহু বার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য চীনকেই দায়ী করে আসছেন ট্রাম্প। তাছাড়া তার সমর্থক রিপাবলিকান শিবিরের অনেকেই শি জিন পিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীনকেই যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এ বিষয়ে ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ব্রেইন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমাদের শিশু ও নাতিদের এবং যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি আসে একটি জায়গা থেকেই। সেই জায়গাটি হচ্ছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং শি জিন পিং ও তার উচ্চাভিলাষী মনোভাব।’
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পও একই ধরনের মনোভাবে দেখাবেন। যুক্তরাষ্ট্রকে ফের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে পরিণত করতে খোলামেলা চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন তিনি। এর অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত প্রতিটি পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকি ও দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তার প্রশাসনে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক দুই ধরনের বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেতে পারে। এছাড়া ট্রাম্পকে সমর্থনকারি রিপাবলিকান দলের মধ্যেও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে দুই ধরনের মতানৈক্য দেখা যেতে পারে। এরমধ্যে একপক্ষ প্রচলিত রিপাবলিকান চিন্তাধারার অনুসারী। তারা বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকাকে আরো আগ্রাসী ও শক্তিশালী হিসেবে দেখতেই বেশি পছন্দ করে। তবে, অপর পক্ষ মনে করে, বহির্বিশ্বের অন্যান্য বিষয়ে নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ঝামেলা থেকে দূরে থাকা এই মত ধারার অনুসারীদের একজন হলেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে উপ-সহকারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী এলব্রিজ কোলবাই।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাকে ফের হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এলব্রিজ কোলবাই সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বের পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি না। আমাদের এটা উপলব্ধি করতে হবে। গেল এক শতকের মধ্যে আমরা এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈকিক রাষ্ট্র নই এবং বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম শিল্প শক্তিও নই।’
ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের মধ্যে এ ধরনের মনোভাবে কমবেশি উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের আমলাতন্ত্রের মধ্যেও। ট্রাম্পের এসব নীতি বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের বন্ধুহীন হয়ে পড়ারও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এই বিষয়ে বিখ্যাত থিংক-ট্যাংক কার্নেগি এনডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু ওয়েস গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফের ফিরে আসার বিষয়টিকে ওয়াশিংটনের পেশাদার কূটনীতিকরাও ভালভাবে দেখছেন না। তারা দেখেছেন কিভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন বিদেশি নেতার সাথে করমর্দন করেছেন। তারা দেখেছেন, নিজের ব্যক্তি স্বার্থ ও ব্যক্তিগত লেনদেনের বিষয়ে তিনি কতটা অনিশ্চিত ও দৌদুল্যমান এবং আমাদের মিত্রদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে তিনি কতটা আন্তরিক।’